‘কসম খেয়ে বলতে পারি, জিদান ওই চিঠি লেখেননি’
অনেক অভিমান নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জিনেদিন জিদান। দায়িত্ব ছাড়ার পর খোলা চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্লাবের কাছ থেকে সেভাবে সাহায্য পাননি, মেলেনি প্রাপ্য সম্মানও। তাই বাধ্য হয়েই কঠিন সিদ্ধান্তটি নিতে হয় তাকে। তবে ক্লাব কিংবদন্তি জিদান অমন চিঠি লিখতে পারেন, তা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না রিয়ালের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের!
গত ২৭ মে দ্বিতীয়বারের মতো রিয়ালের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন ফ্রান্সের সাবেক তারকা ফুটবলার জিদান। তাতে ফুটবল দুনিয়ায় ওঠে ঝড়। বিশেষ করে, ক্লাবটির ভক্ত-সমর্থকরা কিছুতেই মানতে পারেননি জিদানের বিদায়। এতদিন বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন পেরেজ। অবশেষে জানা গেছে তার ভাষ্য।
অতি সম্প্রতি স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ওন্দা চেরো’র ত্রানসিস্তর অনুষ্ঠানে পেরেজ বলেছেন, জিদানের খোলা চিঠিটা তিনি পড়েননি আর সেটা জিদানের লেখা বলেও মানতে পারছেন না, ‘আমি তাকে চিনি। আমাদের জন্য বছরটা বেশ কঠিন ছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম তাকে রাখার জন্য। তার বিদায়ী চিঠিটা আমি পড়িনি। তবে আমি আমার নাতি-নাতনিদের কসম খেয়ে বলতে পারি, যে ওই চিঠিটা লিখেছেন, তিনি জিদান নন, অন্য কেউ।’
তবে বিশ্বকাপ জয়ী জিদান আগামীতে চলার পথে সফলতা অর্জন করবেন, সেই আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন তিনি, ‘তাকে শুভকামনা জানাচ্ছি। তিনি রিয়াল মাদ্রিদের একজন কিংবদন্তি। ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা আছে তার। আমি নিশ্চিত, তিনি ওই স্বপ্ন পূরণ করবেন।’
এর আগে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস ছাপিয়েছিল রিয়ালকে প্রথম মেয়াদে টানা তিনটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো জিদানের খোলা চিঠি। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি চলে যাচ্ছি, কারণ, আমার মনে হয়েছে, ক্লাব আমার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। আমার মনে হয়েছে, মাঝারি বা দীর্ঘ মেয়াদে চলার জন্য যে সমর্থন দরকার, সেটাও আমি ক্লাব থেকে পাচ্ছি না। আমি ফুটবল বুঝি, মাদ্রিদের মতো ক্লাবের চাহিদা কী জানি। আমি জানি, যখন আপনি জিতবেন না, তখন আপনাকে চলে যেতে হবে। তবে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা সবাই ভুলে গেছে, ভুলে গেছে আমি কীভাবে দলটাকে তৈরি করেছি।’
উল্লেখ্য, সবশেষ ২০২০-২১ মৌসুমে জিদানের অধীনে কোনো শিরোপা জেতেনি রিয়াল। স্প্যানিশ লা লিগায় তারা হয়েছিল দ্বিতীয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপে তাদের দৌড় থেমেছিল সেমিফাইনালে। আর কোপা দেল রেতে তারা ছিটকে গিয়েছিল শেষ বত্রিশ থেকেই।
Comments