আমতলীতে ধসে পড়ল আরেকটি সেতু, ভোগান্তিতে ৬ গ্রামের মানুষ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bridge_4.jpg?itok=zhO26Itr×tamp=1624686686)
বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গা এলাকায় চাওড়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি শুক্রবার সন্ধ্যায় ধসে পড়েছে। সেতুটি ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার ছয় গ্রামের মানুষ। একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এসব গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ।
সম্প্রতি সংস্কারের অভাবে ওই উপজেলার চারটি ইউনিয়নে সাতটি সেতু ধসে পড়ে। এ বিষয়ে গত ১৬ জুন দ্য ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে এক কোটি টাকা ব্যয়ে চাওড়া খালের ওপর লোহার কাঠামোর ওপর ঢালাই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু, নির্মাণের পর দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝিতে এটি মাঝ বরাবর ১০-১২ ফুট ডেবে যায়। সেতুটি ডেবে যাওয়ার একমাসের মাথায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ধসে পড়ে।
সেতুটি ধসে পড়ার ফলে আমতলী ইউনিয়নের মহিষডাঙ্গা, পূর্ব মহিষডাঙ্গা, নাচনা পাড়ার একাংশ, পার্শ্ববর্তী হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের একাংশ, চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া, চলাভাঙ্গা গ্রামের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই সেতুর মাধ্যমে এসব গ্রামের মানুষ আমতলী উপজেলা শহরে যাতায়াত করে। সেতুটির উভয় পাশে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ কয়েকটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান আছে।
মহিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘সেতটিু ধসে পড়ায় অনেক ভোগান্তিতে আছি।’
একই গ্রামের আলহাজ্ব মো. শামীম আহসান দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সেতুটি ধসে পড়ায় অনেক পথ ঘুরে আমতলী শহরে যেতে হবে। এতে সময় ও খরচ বাড়বে।’
আমতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘চাওড়া খালের মহিষডাঙ্গা এলাকার সেতুটি ধসের কারণে ছয় গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
আমতলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সেতুটি ধসে পড়ার খবর পেয়েছি। লোহার সেতুর স্থলে গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। এজন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শিগগির কাজ শুরু হবে।’
Comments