এমন না যে আবাহনী অটো জিতে গেছে: বিসিবি প্রধান
টানা তৃতীয়বারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার গৌরব অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। তবে এমন কৃতিত্বের পরও পুরোপুরি কালিমামুক্ত হতে পারছে না তাদের যাত্রা। প্রশ্ন উঠছে কয়েকটি সিদ্ধান্ত অন্যরকম হলে খেলার ফল ভিন্ন হতে পারত কিনা। তবে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বললেন, এমনি এমনি নয় খেলেই জিততে হয়েছে আবাহনীকে।
ক্রিকেট ম্যাচে ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলার সুযোগ থাকে কমই। তবে আবাহনীর পক্ষে এবারের লিগে কয়েকটি সিদ্ধান্ত বারবারই এসেছে আলোচনায়।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বাইরেও কিছু বাড়তি সুবিধা ছিল আবাহনীর। এবারের লিগে তারা বেশিরভাগই ম্যাচই খেলেছে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের সাভারের বিকেএসপিতে যাওয়া-আসার ধকল সেভাবে নিতে হয়নি।
সবচেয়ে বেশি দুপুরে খেলার সুযোগ পাওয়া দলও আবাহনী। মিরপুরে সাধারণ সকাল ও সন্ধ্যায় টস হয়ে যায় অনেক ভাইটাল। দুপুরের ম্যাচে আগে-পরে ব্যাট করা দু দলই সমান সুযোগ পেয়ে থাকে।
তবে খেলার মাঠের দৃশ্যমান সিদ্ধান্তগুলোই হয়েছে বড়। আবাহনীর বিপক্ষেও অবশ্য কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দেখা গিয়েছে। শনিবার প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালেও দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। আগে ব্যাট আবাহনী প্রথম বলেই উইকেট হারিয়েছিল। তিনে নামা লিটন দাসও শুরুতেই ফিরতে পারতেন। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তার প্লাম্ব এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার তানবির আহমেদ।
ম্যাচের একদম শেষ সময়ে গিয়েও একটি সিদ্ধান্ত পক্ষে গেছে আবাহনীর। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ১৬ রান দরকার ছিল প্রাইম ব্যাংকের। শহিদুল ইসলামের প্রথম বলটি ছিল অলক কাপালির কোমরের উঁচুতে। কিন্তু আম্পায়ার বিমারে নো বল ডাকেননি। প্রাইম ব্যাংকে পরে ৮ রানে হারিয়ে উৎসবে মাথা আবাহনী।
পুরো ম্যাচই মাঠে বসে দেখেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল। খেলা শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বাড়তি কোন সুবিধা নয়, কষ্ট করেই জিততে হয়েছে আবাহনীকে, ‘খেলাগুলো দেখুন, ছোট-বড় বলে কোনো কথা নেই। কে জিতবে, এটা বোঝার কোন পথ ছিল না। কাগজে-কলমে আবাহনী প্রায় জাতীয় দল ছিল। লিটন, নাঈম, আফিফ, মুশফিক, সাইফ উদ্দিন, মোসাদ্দেক, ওরা তো জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং টি-টোয়েন্টি দলেই খেলে। তারপরও আবাহনীকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। এমন না যে অটো জিতে গেছে।’
‘আমরা মনে করলেও আসলে কোনো দল ছোট না। খেলাঘরের কাছেও আবাহনী হেরেছে। প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম দোলেশ্বর খুব ভালো দল। সবচেয়ে ভালো বোলিং ছিল প্রাইম ব্যাংকের। মুস্তাফিজ, শরিফুল, রুবেল, এ ধরনের বোলাররা ছিল। কয়েকটা দল ভুগেছে, যেহেতু জাতীয় দলের কিছু তারকা খেলোয়াড় খেলেনি। ওরা খেললে কী হতো, চিন্তা করে দেখুন! অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা হয়েছে। এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য।’
Comments