নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুমিনুল, ইয়াসিরের ঝলক

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এই মৌসুমের শেষ ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ৩৫ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ।
Yasir Ali Chowdhury

লিগ শিরোপা নির্ধারণ হয়ে গেছে দুপুরের ম্যাচেই। শেখ জামাল ধানমন্ডি-গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের শেষ ম্যাচটা ছিল তাই কেবল নিয়মরক্ষার। তাতে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়েছেন মুমিনুল হক, ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। তাদের মুন্সিয়ানায় জয় দিয়ে আসর শেষ করেছে গাজী গ্রুপ।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এই মৌসুমের শেষ ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ৩৫ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ।

আগে ব্যাট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল গাজী গ্রুপ। দলের হয়ে ৫৩ বলে সর্বোচ্চ ৭৮ আসে মুমিনুলের ব্যাটে। মাত্র ২৪ বলে ৫৬ করেন ইয়াসির।

রান তাড়ায় শেখ জামাল করতে পারে  ১৪৯ রান।  ইমরুল কায়েস আর জিয়াউর রহমান ছাড়া কেউ সুবিধা করতে পারেননি। ৩৩ বলে ৪৫ করে আউট হন ইমরুল। মাত্র ১১ বলে ২১ আসে জিয়ার ব্যাট থেকে।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই বিপাকে ছিল শেখ জামাল। ওপেনার সৈকত আলি ফেরেন প্রথম ওভারেই। আগের ম্যাচে হিরো মোহাম্মদ আশরাফুল এদিনও শুরুটা পেয়েছিলেন। কিন্তু থিতু হয়ে আর আগানো হয়নি তার। ১১ বলে ২ চারে ১৫ রান করে তিনি শিকার শেখ মেহেদীর।

আগের ম্যাচে ঝড় তুলে মাত করা নাসির হোসেনেরও একই অবস্থা। ২ চারে ৯ বলে ১৩ রান করে তিনিও মেহেদীর বলেও এলবিডব্লিউ। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানো অবস্থা থেকে পালটা আক্রমণ চালিয়েছিলেন ইমরুল। তবে অন্য প্রান্তে আসেনি তেমন কোন সহায়তা। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এদিন ১০ বলে ৯ রান করে থামেন।

৩৩ বলে ৪৫ করা ইমরুল ছক্কা মারতে গিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকারের বলে। ১৪তম ওভারে ১০৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়।  এরপর তানবির হায়দার আর জিয়াউর রহমান খেলা টেনেছেন। তবে জিয়াই তৈরি করেছিলেন নিভু নিভু আশার জায়গা। ২৩ বলে ২৯ করে তানবিরের ফেরার পর জিয়ার আর সঙ্গী ছিল না। তিনি পরে থামেন মহিউদ্দিন তারেকের বলে। তারেক, সঞ্জিত সাহা মিলে শেষটা মুড়তে সময় নেননি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে যাওয়া গাজীর শুরুটা মন্দ নয়। যদিও রান আসছিল কেবল মেহেদীর ব্যাটে। নিজের ছায়া হয়ে থাকা সৌম্য ১০ বলে ৯ রান করে শিকার জিয়ার কাটারে। ১৭ বলে ২৭ করা মেহেদীও জিয়ার শিকার।

 

শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মুমিনুল। শুরুতে সময় নিয়ে খেলা মুমিনুল এক পর্যায়ে ছিলেন ৩১ বলে ৩১ রানে। হুট করেই খেলায় গতি বাড়ান তিনি। ১১ করে শাহাদাত ও মাত্র ১ করে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর আউটে জোড়া ধাক্কা লাগে গাজীর ইনিংসে। তবে ইয়াসিরকে নিয়ে সেই ধাক্কা উড়িয়ে দেন মুমিনুল।

 

দুজনেই মারতে থাকেন একের পর এক বাউন্ডারি। ৪টি করে চার-ছক্কা মারা ইয়াসির ফিফটি করেন মাত্র ২২ বলে। ২৪ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। চল্লিশের পর মারতে শুরু করা মুমিনুল সব পুষিয়ে ১১ চারে ৫৩ বলেই করেন ৭৮। বিশাল পুঁজি পাওয়ার পর সান্ত্বনার জয় দিয়ে লিগ শেষ করার পথ সহজ হয়ে যায় গাজীর।

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago