মুক্তিপণের দাবিতে স্কুলশিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে এক স্কুলশিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আবির হোসেন (১২) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরিষাডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আসাদুল ইসলামের ছেলে। সে তার মায়ের সঙ্গে গাংনী উপজেলার মিনাপাড়ায় নানা বাড়িতে থাকত।
আবিরের মা শাহানা খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল বন্ধু হামিম ও মুজাহিদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে গ্রামের মাঠে ঘুরতে যায় আবির হোসেন। সন্ধ্যার দিকে হামিম ও মুজাহিদ মাঠ থেকে ফিরে গ্রামের মানুষদের জানায় আবিরকে অজ্ঞাত একজন ধরে নিয়ে গেছে। প্রায় রাত ৮টার দিকে আবিরের মোবাইল ফোন থেকে মায়ের নম্বরে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অজ্ঞাত একজন। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর আবিরের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি গাংনী থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে রাত ১২টার দিকে মাঠ থেকে আবিরের মরদেহ উদ্ধা করে পুলিশ।
ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের তথ্য দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান।
তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে রাত ১২টার দিকে মাঠ থেকে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আবিরের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি বজলুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এরা আবিরের বন্ধু হামিম হোসেন ও মুজাহিদ। তাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
Comments