নেদারল্যান্ডসকে বিদায় করে কোয়ার্টার-ফাইনালে চেক
ইতিহাস চেক রিপাবলিকের সঙ্গেই ছিল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বরাবরই দুর্দান্ত তারা। সে ধারা ধরে রাখল ২০২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও। দারুণ এক জয়ে আসরটির কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট কেটে নিল ১৯৯৬ সালের ফাইনালিস্টরা।
রোববার রাতে হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় নেদারল্যান্ডসকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারায় চেক রিপাবলিক। ম্যাচের দুটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। থমাস হোলস দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান প্যাট্রিক চিক।
এই হারে শেষ ১৬ বছরে চেকের বিপক্ষে জয়শূন্য ডাচরা। সবশেষ ২০০৫ সালে জিতেছিল দলটি। আর নিজেদের মধ্যে সবশেষ ছয় মোকাবেলায় এটা চেকের চতুর্থ জয়।
আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে মাতাইস ডি লিখটের লাল কার্ডই ম্যাচ বদলে দিয়েছে। তবে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই গোল করার মতো সুযোগ সব তৈরি করেছে চেক। প্রথমার্ধে কয়েকটি হাফচান্স ছাড়া কিছুই করতে পারেনি ডাচরা। অন্যদিকে এ অর্ধেই একাধিক গোল পেতে পারতো চেক।
তবে ডাচরা কাঠগড়ায় তুলতে পারেন ডোনিয়েল মালানকে। ৫২তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেছেন তিনি। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান। আশেপাশে ছিলেন না প্রতিপক্ষের আর কোনো খেলোয়াড়। বেশ সময় পেয়েও গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে বড় ভুল করে ফেলেন তিনি। অসাধারণ এক সেভ করেন থমাস ভাসলিক। এ সুযোগ ছাড়া আর তেমন কোনো ভীতি ছাড়তে পারেনি ডাচরা।
এর তিন মিনিট পরই বড় ভুলটি করে ফেলেন ডি লিখট। চিকের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে হেরে গিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ঠেকান তিনি। শুরুতে রেফারি হলুদ কার্ড দিলেও পরে ভিএসআরে সিদ্ধান্ত বদলে হয় লা কার্ড। ডাচরা তখন থেকেই কোণঠাসা।
৬৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় চেক। ফ্রিকিক থেকে উড়ে আসা বল লাফিয়ে হেড দিয়ে হোলসকে দেন থমাস কালাস। একেবারের ফাঁকায় বল পেয়ে নিখুঁত এক হেডে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি সাল্ভিয়া প্রাগের এ মিডফিল্ডার।
আর ৮০তম মিনিটে ডাচদের সব আশা শেষ করে দেন চিক। অবশ্য এ গোলেও দারুণ অবদান রয়েছে হোলসের। নিজেদের অর্ধ থেকে উড়ে আসা বল প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ঠিকভাবে ফেরাতে না পারলে প্রায় ছোবল বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। করেন দারুণ এক কাটব্যাক। কাছের বারপোস্ট লক্ষ্য করে নিখুঁত শটে বল জালে জড়াতে ভুল হয়নি চিকের।
তবে এ দুটি গোলই নয়, ২২তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে পিটার সেভচিকের ক্রসে নেওয়া সৌচেকের হেড ঠিকঠাক সংযোগ হলে এগিয়ে পেতে পারতো চেক। ৩৮তম মিনিটে গোলরক্ষককে কেয়া পেয়েও বাইরে মারেন বারাক। ৬৫তম মিনিটে পাভেল কাদেরাবেকের শট ডেঞ্জেল ডামফ্রিস অসাধারণ দক্ষতায় ব্লক না করলে ব্যবধান আরও বড় হতো।
কোয়ার্টার ফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষই পাচ্ছে চেক। আগামী শনিবার ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলবে তারা। প্রথম দুটি ম্যাচ হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে রীতিমতো উড়ছে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
Comments