ব্রাজিলের জয়ের ধারায় ইতি টানল ইকুয়েডর
প্রথমার্ধের শেষদিকে এগিয়ে যাওয়া ব্রাজিল খেই হারাল বিরতির পর। তাদের মলিন পারফরম্যান্সের বিপরীতে উজ্জীবিত ফুটবল খেলল ইকুয়েডর। ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা টেনে তারা উঠে গেল কোপা আমেরিকার শেষ আটে। তাতে ইতি পড়ল সবমিলিয়ে সেলেসাওদের টানা ১০ ম্যাচের জয়ের ধারায়।
সোমবার ভোরে গোইয়ানিয়াতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। এদার মিলিতাওয়ের গোলে ব্রাজিল এগিয়ে যাওয়ার পর ইকুয়েডরের পক্ষে গোল শোধ করেন আনহেল মেনা।
৬২ শতাংশ সময়ে বল দখলে রাখা ব্রাজিল গোলমুখে ছয়টি শট নিয়ে তিনটি রাখে লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ইকুয়েডরও আটটি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে তিনটি।
নেইমার, কাসেমিরো, রিচার্লিসনদের বেঞ্চে রেখে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। তাদের অনুপস্থিতিতে দলটির স্বাভাবিক ছন্দে পতন ঘটে। দ্বিতীয়ার্ধে কাসেমিরো ও রিচার্লিসন নামলেও খেলায় উন্নতির ছোঁয়া মেলেনি।
গোলমুখে ম্যাচে প্রথমবার ভীতি ছড়ায় ইকুয়েডর। চতুর্থ মিনিটে জেগসন মেন্দেজের দূরপাল্লার শট অনায়াসে লুফে নেন ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন।
১৫তম মিনিটে লুকাস পাকেতা স্বাগতিকদের হয়ে প্রচেষ্টা চালান। ১০ মিনিট পর ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে এই মিডফিল্ডারের আরেকটি শট প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়।
৩৭তম মিনিটে কর্নার থেকে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এভারতনের নিখুঁত ডেলিভারি থেকে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার এদার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্যাচের লাগাম হাতছাড়া হতে থাকে ব্রাজিলের। তাদের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে ইকুয়েডর। সেই ধারাবাহিকতায় ৫৩তম মিনিটে গোল আদায় করে নেয় তারা।
কর্নারের পর ব্রাজিলের রক্ষণভাগ বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করে সফলতা পায়নি। বল ঘুরে আবার তাদের ডি-বক্সে পৌঁছে যায়। এরপর এন্নার ভ্যালেন্সিয়ার হেডে বল পেয়ে অ্যালিসনকে পরাস্ত করেন মেনা।
৬৫তম মিনিটে বদলি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র স্লাইড করেও বল লক্ষ্যে রাখতে না পারায় হতাশ হতে হয় ব্রাজিলকে। ৮০তম মিনিটে মেনার শট ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন অ্যালিসন।
বাকি সময়ে দুদল আরও কিছু আক্রমণ চালালেও গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে ব্রাজিলের পয়েন্ট হারানোর ম্যাচে নক-আউটে ওঠার উল্লাসে মাতে ইকুয়েডর।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে পেরু ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ভেনেজুয়েলা। ৪৮তম মিনিটে সতীর্থের কর্নারে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন আন্দ্রে কারিয়ো।
‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল। ড্র করায় চার ম্যাচে তাদের অর্জন বেড়ে হলো ১০ পয়েন্ট।
পেরু ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও কলম্বিয়া ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে শেষ আটে পা রেখেছে। চারে থাকা ইকুয়েডরের অর্জন ৩ পয়েন্ট। তলানিতে থাকা ভেনেজুয়েলা ২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিল আসর থেকে।
Comments