আমাকে কোনো মিটিংয়ে ডাকাও হয়না: সুজন

কদিন আগেই সাকিব-তামিমদের জন্য নতুন দুইজন কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া খুব ভালো করেই জানার কথা খালেদ মাহমুদ সুজনের। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না! এমনকি এখন তাকে কোনো মিটিংয়েও ডাকা হয় না বলে সঙ্গে বেশ ক্ষোভ উগলে দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক।
অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন হিসেবে ভাবা হয় সুজনকে। বাংলাদেশের সেরা দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজার মতে, বিসিবির সবচেয়ে পরিশ্রমী মানুষ সুজন। তার ভাবনা জুড়ে শুধুই ক্রিকেট। কিন্তু এমন কি হলো যে তাকে এখন আর কোনো সভাতেই ডাকা হয় না।
সোমবার গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুজন বলেছেন, 'আমি আসলে ভাইস চেয়ারম্যান আছি কি-না অপারেশন্সে সেটা আমি নিশ্চিত না। কোনো মিটিংয়ে এটেন্ড করা হয় না বা কোন সময় ডাকাও হয়না। মাঝে তো দু'বছর ই-মেইলই পাইনি। এখন কিছু কিছু পাই। তবে তখনই জানি যে বাংলাদেশ টিমের কি স্কোয়াড যাচ্ছে বা কি। আগে অনেক ইনভল্ব থাকতাম এখন আমি অপারেশন্সের সাথে অতভাবে ইনভল্ব না।'
বাংলাদেশ দলের সাবেক স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে ঠিকভাবে না পাওয়ায় রঙ্গনা হেরাথের নাম প্রস্তাব করেছিলেন সুজনই। অথচ নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানেনই তিনি, 'আমার কথা হচ্ছে যে, যদি আমাকে না জানানোর প্রয়োজন মনে করে, তো আমি জানবো কীভাবে? আমিতো ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান। আমি আপনাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এই দুটো লোককে নিয়োগ করা হয়েছে।'
দুই কোচ নিয়োগের সময়ে বাবলে ছিলেন সুজন। কিন্তু সেটা তাকে না জানানোর কোনো অজুহাত হতে পারে না বলে জানান তিনি, 'আমাকে কেউ শেয়ার করেনি হয়তো আমি বাবলে ছিলাম বলে। বাবলে অবশ্য ফোন ছিল, আমাকে হয়তো জানানো হয়নি। আমি পত্রিকা পড়ে খবর শুনে জানতে পারলাম অ্যাশওয়েল প্রিন্স ও রঙ্গনা হেরাথকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হেরাথের কথাটা আমিই বলেছি বিসিবিকে।'
Comments