নোয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়: স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

নোয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে চাকরিতে যোগ দিতে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে চাকরিতে যোগ দিতে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত সপ্তাহের বৃহস্পতি ও চলতি সপ্তাহের রোববার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের নাম করে ইমরুল কায়েস এভাবে ৫১ জন ব্যক্তির প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা করে আদায় করেছেন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিদর্শক পদে নিয়োগ পাওয়া ওই ব্যক্তিদের চাকরিতে যোগদানের আগে এই সনদ নিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রতারিত একাধিক নারী-পুরুষ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিয়ম অনুসারে তাদের সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু, এজন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে তাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রতি জনের কাছ থেকে নেওয়া হয় আড়াই হাজার টাকা করে।

ভুক্তভোগীরা বলেন, পরে ওই বেসরকারি হাসপাতালে করা পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় আসলে, ইমরুল কায়েস সনদের জন্য তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে আবার টাকা নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন কর্মী বলেন, ‘৫১ জনের কাছ থেকে আদায় করা টাকার পরিমাণ পাঁচ লাখের বেশি। পরে তা ভাগাভাগি হয়ে গেছে।’

অবশ্য অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো টাকা নেইনি।’

এ বিষয়ে নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য সনদের জন্য টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। তবে, ডোপ টেস্ট বাইরে করা হয়। এজন্য বেসরকারি হাসপাতাল কত টাকা নেয়, তা তিনি জানেন না।

আর তার নাম করে টাকা আদায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে মাসুম ইফতেখার বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। এ ব্যাপারে খবর নেব। যদি বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago