এমবাপের পাশে আছে গোটা ফ্রান্স
গত রাতে ফ্রান্সের সবচেয়ে অসুখী মানুষটিই হয়ত ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। নিজের ভুলে দলের বিদায় দেখার নির্মমতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। ম্যাচের পর এমবাপে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে কোচ দিদিয়ের দেশম বলছেন, এমবাপের উপর দলের কারো রাগ নেই। দল হিসেবেই এই হারটা তারা মেনে নিচ্ছেন।
সোমবার রাতে বুখারেষ্ট রচিত হয় সুইস রূপকথার। ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের পুরোটাই ছিল উত্তান পতনে ভরপুর। প্রথমে গোল করে সুইজারল্যান্ড এগিয়ে গিয়েছিল। পেনাল্টি পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগও ছিল তাদের। হুগো লরিস পেনাল্টি বাঁচানোর ঘুরে দাঁড়ায় ফরাসিরা। ৫ মিনিটের মধ্যে করিম বেনজামা দুই গোল করলে এগিয়েও যায় তারা।
পরে ব্যবধান ৩-১ করে দেন পল পগবা। মনে হচ্ছিল বড় জয় নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু পরে অনেক নাটকীয়তায় বিদায় হয়েছে তাদেরই। শেষ দিকে দুই গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরা সুইজারল্যান্ড খেলা নিয়ে যায় টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শ্যুটআউটের স্নায়ুচাপের পরীক্ষায় দুই দলের সবাই পাশ করে গেলেও আটকে যান এমবাপে। সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার ফিরিয়ে দেন এমবাপের শট।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশম জানালেন বড় ভুল করলেও এমবাপের প্রতি সমর্থন তাদের, , ‘কিলিয়ান এবার গোল পায়নি। তবে আমাদের আক্রমণে ওর ভূমিকাই বড় ছিল। শেষ পেনাল্টি মারার দায়িত্ব নিজে থেকেই নিয়েছিল। ওর প্রতি কারো কোন রাগ নেই।’
‘আজ সবাই কষ্ট পাচ্ছি, স্বাভাবিকভাবে হতাশা কাজ করছে। তবে পুরো দল ঐক্যবদ্ধ আছে। কিলিয়ানকে কেউ বলছে না, “তুমি এই ভুল করেছ।”’
এমন এক ম্যাচের জন্য প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ডকেও কৃতিত্ব দিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ, ‘বুঝতে হবে আমরা আজ এক অন্যরকম শক্তির সুইস দলের সঙ্গে খেলেছি। প্রথমার্ধে ওরা আমাদের চেপে ধরেছি। তবে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলে আমরা অভ্যস্ত। বিরতির পর আমরা ঠিকই খেলায় ফিরি। শেষ ১০ মিনিট আগেও দুই গোলের তফাৎ ছিল। এটা ধরে রাখা উচিত ছিল।’
টাইব্রেকারের স্নায়ুচাপে যাওয়াই কাল হয়েছে বলেও মত তার, ‘টাইব্রেকার ব্যাপারটাই এরকম, ঝুঁকি থাকে। এই পরাজয় আমাদের দগ্ধ করছে, কিছু করার নেই। এটাই ফুটবল, মেনে নিতে হবে।’
Comments