ভাঙাচোরা শ্রীলঙ্কাকে সহজেই হারালো ইংল্যান্ড

অধিনায়ক কুসল পেরেরা আর ভানিন্দু হাসারাঙ্গার দুই ফিফটিতেও দুইশো ছুঁতে পারেনি শ্রীলঙ্কার পুঁজি। মামুলি পুঁজি নিয়ে একশোর আগে ইংল্যান্ডের চার উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত জো রুটের ব্যাটে চরম সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কাকে সহজেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার চেস্টার-লি-স্ট্রিটে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড জিতেছে ৫ উইকেটে। শ্রীলঙ্কার করা ১৮৫ রান তারা পেরিয়ে গেছে ৯১ বল আগে। দলকে জিতিয়ে ৮৭ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন রুট।
এদিন লঙ্কানরা নেমেছিল একেবারে ভাঙাচোরা দল নিয়ে। সুরক্ষা বলয়ে ভেঙ্গে কুসল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা ও নিরোশান ডিকভেলারা নিষিদ্ধ হয়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। আগেই চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন আবিস্কা ফার্নেন্দো, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এই পাঁচজনই ছিলেন ব্যাটসম্যান। নিয়মিত একাদশের পাঁচ ব্যাটসম্যানের শূন্যতা পূরণ করা মুশকিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তাই বাধ্য হয়ে কেবল তিন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান খেলাতে হয়েছে সফরকারীদের।
লঙ্কান একাদশে তাই ছিল বোলিং অলরাউন্ডারদের ছড়াছড়ি। এমন দিনে টসটাও নিজেদের পক্ষে আসেনি। টস হেরে কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাথুম নিশানকাকে হারায় তারা।
অনভিজ্ঞ চারিতা আসালাঙ্কা ৬ বল খেলে আউট হন কোন রান না করে। চারে সুযোগ পেয়ে দাসুন শানাকা মেটাতে পারেননি পরিস্থিতির দাবি। ৪৬ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করেন হাসারাঙ্গা-পেরেরা।
লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার থেকে ব্যাটের জোর অনেক বাড়িয়ে ফেলা হাসারাঙ্গা দেখান তার পরিণত ক্রিকেট মুন্সিয়ানা। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ৯৯ রান। ৬৫ বলে ৫৪ করে ক্রিস ওকসের শিকার হন হাসারাঙ্গা।
এরপর আবার নামে ধস। ওকস, উইলি মিলে তুলতে থাকেন উইকেট। এক দিকে টিকেও বেশি দূর যেতে পারেননি পেরেরা। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে লঙ্কান অধিনায়ক ফেরেন ৮১ বলে ৭৩ রান করে। শেষ দিকে চামিকা করুনারত্নের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। তবু পুঁজিটা থেকে যায় মামুলি।
সহজ লক্ষ্যে নেমে লিয়াম লিভিংস্টোনকে পাশে রেখে ঝড় তুলেন জনি বেয়ারস্টো। ওপেনিং জুটির ৫৪ রানের মধ্যে মাত্র ৯ করা লিভিংস্টোন ফেরেন করুনারত্নের বলে। ঝড় তুলা বেয়ারস্টো খানিক পরই বিনোরা ফার্নেন্দোর বলে বোল্ড। তবে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ২১ বলে ৪২ করে কাজটা অনেক সহজ করে দিয়ে যান তিনি।
এরপর ইয়ন মরগ্যান, স্যাম বিলিংসকে পর পর তুলে নেন দুশমন্ত চামিরা। কিন্তু মঈন আলিকে নিয়ে জুটি বেধে দলকে জেতার কাছে নিয়ে যান রুট। ৯১ রানের জুটির পর ২৮ করে চামিরার তৃতীয় শিকার হন মঈন। তবে ততক্ষণে খেলা একদম ইংল্যান্ডের মুঠোয়।
Comments