অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে শেষ আটে ইউক্রেন

ম্যাচ পেনাল্টি শ্যুটআউটে গড়ানো তখন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধও শেষ হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ রেফারি দিয়েছিলেন বাড়তি তিন মিনিট যোগ করার সংকেত। আর প্রথম মিনিটেই বাজিমাত করল ইউক্রেন। ১০ জনের সুইডেনকে হারিয়ে তারা উঠে গেল ২০২০ ইউরোর শেষ আটে।
মঙ্গলবার রাতে গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে আসরের শেষ ষোলোর নাটকীয় লড়াইয়ে ২-১ গোলে জিতেছে আন্দ্রেই শেভচেঙ্কোর শিষ্যরা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়।
প্রথমার্ধে আলেক্সান্দার জিনচেঙ্কোর লক্ষ্যভেদে পিছিয়ে পড়া সুইডেন সমতায় ফেরে বিরতির কিছুক্ষণ আগে এমিল ফর্সবার্গের কল্যাণে। এরপর নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ে ইউক্রেনকে আনন্দে মাতান বদলি আরতেম ডভবিক। জাতীয় দলের জার্সিতে ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের প্রথম গোলটি তাই হয়ে থাকছে স্মরণীয়।
৯৯তম মিনিটে মার্কাস ড্যানিয়েলসন লাল কার্ড দেখার আগ পর্যন্ত ম্যাচে দাপট ছিল সুইডিশদের। কিন্তু একজন কম পড়ে যাওয়ায় শেষে তারা বেছে নেয় রক্ষণাত্মক কৌশল। উদ্দেশ্য ছিল ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যাওয়া। ইউক্রেনের লেফট-ব্যাক জিনচেঙ্কোর মাপা ক্রসে ডবভিকের হেড জালে পৌঁছানোর আগে সেই পরিকল্পনায় সফলই মনে হচ্ছিল তাদের।
৫৫ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখা ইউক্রেন গোলমুখে ১৫টি শট নিয়ে চারটি রাখে লক্ষ্যে। অন্যদিকে, সুইডেনের ১৩ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। তারা অবশ্য নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতে পারে। বিশেষ করে, জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগের ফরোয়ার্ড ফর্সবার্গ। কারণ, নির্ধারিত সময়ে তার দুটি শট বাধা পায় গোলপোস্টে। এর আগে ইউক্রেনের মিডফিল্ডার সেরহাই সিদুরচুকের একটি শটও পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়।
আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে ইউক্রেন। রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তারা মোকাবিলা করবে প্রতিযোগিতার অন্যতম শিরোপাপ্রত্যাশী ইংল্যান্ডকে।
Comments