‘আয় না থাকলে ঢাকায় থাকব কীভাবে, খাব কী’

ঢাকায় গাড়ি চালান ফরিদপুরের এস আই সুমন। লকডাউনে কাজ না থাকায় আরও অনেকের মতো তিনিও বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ছবি: স্টার

বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিন সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ সময় বন্ধ থাকবে দোকানপাট ও শপিংমলসহ জরুরি পরিষেবার বাইরের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। লকডাউনে উপার্জন থাকবে না এমন অনেক মানুষ এখন যেভাবে পরছেন ঢাকা ছাড়ছেন।

বাড়ি ফিরতে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসা কয়েকজনের সঙ্গে আজ কথা বলেছে দ্য ডেইলি স্টার।

ফরিদপুরের এস আই সুমন ঢাকায় গাড়ি চালান। ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘লকডাউনে গাড়ি চলাচল বন্ধ। আয় না থাকলে ঢাকায় থাকব কীভাবে, খাব কী? এ কারণে নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।’

রাজবাড়ির রাতুল হাসান ঢাকায় দর্জির দোকানে কাজ করেন। তিনি বললেন, ‘লকডাউনের ঘোষণার পর আজ সকালে মালিক হাতে কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন। পাওনা টাকাও সব দেননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দোকানে ফিরতে বলেছেন। তাই বাড়িতে ফিরছি। গ্রামে গিয়ে কাজ যোগাড় করে নিতে হবে। তা না হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলব কীভাবে?’

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ছোট ছোট যানবাহনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঢাকা থেকে আরিচা, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ হয়ে বাড়ি ফিরছেন দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ।

ঢাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করেন মাগুরার মোহাম্মদ সোহান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মালিক ছুটি দিয়েছে, বাড়ি যাচ্ছি। হাতে টাকা নেই। একশ টাকা ভাড়ার পথ এক হাজার টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। ভোগান্তির শেষ নেই। যত কষ্ট সব গরিবের। আমাদের না খেয়ে মরার জোগাড় হয়েছে।’

যশোরের ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি গাজীপুরে ছোটখাটো একটা ব্যবসা করি। লকডাউনের কারণে আগামীকাল থেকে দোকান পাট বন্ধ। তাই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Police struggle as key top posts lie vacant

Police are grappling with operational challenges as more than 400 key posts have remained vacant over the past 10 months, impairing the force’s ability to combat crime. 

6h ago