‘অবিশ্বাস্য মুহূর্তে’ উল্লাসে ভাসছে গোটা ইংল্যান্ড

ফুটবল খেলার জন্ম হয়েছিল ইংল্যান্ডে। কিন্তু বিশ্বকাপ, ইউরো কাপ মিলিয়ে ইংল্যান্ড ফাইনালে যেতে পেরেছে কেবল একবারই। সেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ফাইনালের দোয়ার বন্ধ ছিল তাদের। এরমধ্যে পৃথিবীর কত বদল এসে গেছে, সাদা কালো টেলিভিশনের যুগ থেকে রঙিন টিভি ঘুরে স্মার্ট টিভি আর ইন্টারনেটের উৎকর্ষে প্রবেশ করেছে দুনিয়া। তবু ইংল্যান্ডের আর ফাইনালে উঠা হয়নি। ৫৫ বছর পর অবশেষে বুধবার রাতে ইউরোর ফাইনালে উঠে দেশটি ভাসছে আনন্দের বন্যায়। কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বললেন, এমন মুহূর্তের অংশ হতে পারাই এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ডেনমার্কের দামসগার্ডের চোখ ধাঁধানো ফ্রি কিকে পিছিয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড। ঘুরে দাঁড়িয়ে গোল আদায় করার পর খেলা যায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে পেনাল্টি থেকে দুইবারের চেষ্টায় গোল করে ইংল্যান্ডকে উল্লাসে মাতান হ্যারি কেইন।

দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের জয়ের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে উল্লাস শুরু করেন মানুষজন। বারে খেলা দেখতে থাকা হাজার হাজার মানুষ ফেটে পড়েন আনন্দে।  রাতভর চলে পার্টি, হইরই। 

গত বিশ্বকাপেরও সেমিতে উঠেছিল ইংলিশরা। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যন্ত্রণা সইতে হয়। এবার ডেনমার্কের বিপক্ষেও বুক কেঁপে উঠেছিল তাদের। শেষ পর্যন্ত কাজটা করতে পারায় ফুটবলারদের বাহবা দিলেন কোচ সাউথগেট, ‘সেমি-ফাইনাল বাধা পার হতেই এত লম্বা একটা সময় পার করতে হলো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সীমিত অভিজ্ঞতা নিয়েই এই ফুটবলাররা অবিশ্বাস্য কাজ করেছে। মস্কোতে (বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনাল) আমরা ধুঁকেছিলাম। আজকের রাতে আমরা পেরেছি।’

কোচ হিসেবেও ইতিহাসের অংশ হওয়ার পথে সাউথগেট। দলকে ফাইনালে তোলার পর তিনিও পেশার খোলস ছেড়ে হয়ে গেছেন আবেহে বিহবল,  ‘এটা এক অবিশ্বাস্য মুহূর্ত। এই মুহূর্তের অংশ হতে পারা অবিশ্বাস্য। মাঠে রীতিমতো তুফান বয়ে গেছে, আমিও এতে ছিলাম। আমরা ফাইনালে উঠেছি। এই উদযাপন, এই আনন্দ আমাদের প্রাপ্য।’

টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ফুটবল উপহার দেওয়া ইংল্যান্ড এই ম্যাচে করেছে একের পর এক আক্রমণ। গোলমুখে নেওয়া ২০ শটের ১০টাই ছিল লক্ষ্যে। তবু চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা নিয়ে খেলা ডেনমার্ক ও তাদের গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেলকে ঠলানো যাচ্ছিল না। সাউথগেট জানালেন তারা জানতেন কাজটা সহজ হচ্ছে না, ‘বিশ্বাস ছিল আমরা পারব। তবে এটাও জানতাম অনেক খাটতে হবে। কারণ তারা খুব ‘আন্ডাররেটেড’ দল, মাঠে সবাইকে ভুগায়। আমাদেরও তাই করেছে। কাজটা কঠিন হতে যাচ্ছে ফুটবলারদের এটা বলেছিলাম। পিছিয়ে পড়লে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এটা বলেছিলাম।’

১১ জুলাই ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ আসরের আরেক শক্তিশালী দল ইতালি। ইংলিশ কোচ আশায় আছেন চূড়ান্ত লড়াইয়েও বাজিমাত করবে তার দল,  ‘আমাদের ভক্ত-সমর্থক,আমাদের পুরো দেশকে অদ্ভুত আনন্দের দারুণ এক রাত উপহার দিতে পেরেছি। আরও চারদিন এই অবস্থা থাকছে। তারপর বড় কাজ। আমরা ভক্তদের স্মরণীয় এক রাত উপহার দিতে চাই।’

Comments

The Daily Star  | English

4,000 ASIs to join police force before election: IGP

No lottery system for civil service postings, says senior secretary to public administration ministry

7m ago