সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে মুন্সিগঞ্জে টিকাকেন্দ্রে মানুষের ভিড় 

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে আজ শনিবার টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড়। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের একটি টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেখানে টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

মোবাইলে যাদের টিকার মেসেজ আসেনি, তাদের চলে যেতে বলা হলে সেখানে হট্টগোল শুরু হয় এবং পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

মানুষের ভিড়ের বিষয়টি স্বীকার করে জেলা সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মোবাইলে মেসেজ না পেয়েও অনেকে টিকা কেন্দ্রে আসায় এ অবস্থা তৈরি হয়।

তিনি জানান, শনিবার হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে ৪২৩ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬২ জন পুরুষ ও ১৬১ জন নারী।

মুন্সিগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর এলাকার আলতাফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মোবাইলে মেসেজ আসার পর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় টিকা কেন্দ্রে এসেছিলাম। এসে দেখি দীর্ঘ লাইন। আমার সামনে ছিল ৪০-৫০ জন। অনেকে মোবাইলে মেসেজ না পেয়েও লাইনে দাঁড়িয়ে সমস্যা তৈরি করেছে। তাদের টিকা দেওয়া হবে না বলে জানালে তারা স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে চিৎকার শুরু করে।’

সিভিল সার্জন, টিকা নেওয়ার রেজিস্ট্রেশন করার পর মোবাইলে মেসেজ এলে টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার নিয়ম। কিন্তু, মানুষ শুধু রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়ে কেন্দ্রে এসে ভিড় করতে থাকে।

‘এতে, যারা মেসেজ পেয়ে এসেছে তারাও ভোগান্তিতে পড়েন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরাও চাপ সামাল দিতে সমস্যায় পড়েন,’ যোগ করেন তিনি।

রবিবার থেকে যারা মোবাইলের মেসেজ দেখাবেন তাদের টোকেন দিয়ে টিকা দেওয়া হবে। এর বাইরে যারা আসবেন, তাদের টিকা দেওয়া হবে না বলে জানান সিভিল সার্জন।

টিকা কেন্দ্রে বুথ বাড়ানোর বিষয়ে সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যখন আমাদের পর্যাপ্ত টিকা আসবে, যখন টিকার স্বল্পতা থাকবে না তখন বুথ বাড়বে। যা টিকা আছে এসব বুথ বাড়িয়ে দেওয়া হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।’

তিনি জানান, সদর উপজেলার তিন হাজার ৬০০ জনকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এর আগে, গত ১৯ জুন থেকে প্রতিদিন চার-পাঁচ জন করে টিকা নিতে আসতেন। কিন্তু, রেজিস্ট্রেশন উন্মুক্ত করার পর মানুষের চাপ বেড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

4h ago