পর্তুগালে অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত করার দাবি

পর্তুগালে অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত সময়ে বৈধতা, ইমিগ্রেশন আবেদনের ক্রমানুসারে সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ, অভিবাসীদের সমঅধিকারসহ বেশ কিছু দাবিতে রাজপথে নেমেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে মানববন্ধন ও সমাবেশে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। ছবি: স্টার

পর্তুগালে অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত সময়ে বৈধতা, ইমিগ্রেশন আবেদনের ক্রমানুসারে সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ, অভিবাসীদের সমঅধিকারসহ বেশ কিছু দাবিতে রাজপথে নেমেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ।

গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে রাজধানী লিসবন এবং বন্দরনগরী পোর্তোতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এসময় তারা ‘আর অপেক্ষা নয়’ এবং ‘কোনো মানুষই অবৈধ নয় এমন’ স্লোগান ও প্লেকার্ড বহন করেন। তাছাড়া বক্তব্যে পর্তুগালের অর্থনীতিতে তাদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
দাবিগুলোর মধ্যে নতুন আগতদের আবেদনের ক্রমানুসারে তাদের বায়োমেট্রিকের তারিখ দেওয়া, আবেদনের দ্রুত সাড়া দেওয়া (বর্তমানে যা ইমেইল আসতে ১৩/১৪ মাস সময় নেয়) এবং এসইএফ বা অভিবাসন অধিদপ্তর থেকে নতুনদের ইমেইল আসার দিন থেকে পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব আবেদনের সময় গণনা করা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব অভিবাসীকে এসএনএস নম্বর দেওয়া উল্লেখযোগ্য।

রাজধানী লিসবনের প্রাণকেন্দ্র প্রাসা ডি কমার্শিয়াতে আয়োজিত সমাবেশে বাংলাদেশি সংগঠকরা বলেন, আমরা অভিবাসীদের দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করেছি। আমাদের বিশ্বাস অতীতের মতো সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অভিবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে।

পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন,  আমরা আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের অভিবাসীদের সব অধিকার আদায় করেছি। ২০১০ এর পরে দীর্ঘ সময় আমাদের অভিবাসীরা অনেক বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে। ২০১৬ ও ২০১৭ তে ইমিগ্রান্ট সলিডারিটির নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশিরা আন্দোলনে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছিলাম। প্রায় ত্রিশটি দেশের ১০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। যার ফলশ্রুতিতে আজ ইমিগ্রেশনের অনেক কিছুই সহজ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছে।

পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মো. শাহজাহান বলেন, অভিবাসীদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আমরা আজকের এই আন্দোলনে শামিল হয়েছি বিশেষ করে নতুনদের দ্রুত সময়ে বৈধতা প্রদান এবং আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সকলকে ইমিগ্রেশনে বায়োমেট্রিক প্রদানের তারিখ দেওয়ার আহবান করছি।

লেখক: পর্তুগাল প্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

6h ago