গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ৬

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গাজীপুরে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের সময় একটি পোশাক কারখানার কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ১৬ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর সমীর চন্দ্র সূত্রধর দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সামনে লক্ষীপুরা এলাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বকেয়া বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ৬ জুলাই থেকে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে আসছে। এ ছাড়াও, তারা গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারখানার সামনে ঢাকা-গাজীপুর সড়ক অবরোধ করে আসছিল। এ কারখানায় শ্রমিক ছাড়াও প্রায় সাড়ে সাতশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে।

তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিনের মতো রোববার সকালে তারা কারখানার গেটে জড়ো হয়ে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করে। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা কারখানার সামনে ঢাকা-গাজীপুর সড়কের অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উভয় দিকে অ্যাম্বুলেন্সসহ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করতে চান্দনা চৌরাস্তার দিকে যেতে থাকে। কিছুদূর যাওয়ার পর পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

শিল্পপুলিশের ইন্সপেক্টর ইসলাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ইটপাটকেলে পুলিশের কনস্টেবল সাদিকুলসহ কয়েকজন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ২০ রাউন্ড টিয়ার সেল ও ১৬ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষুব্ধ পোশাক কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) উপপুলিশ কমিশনার জাকির হাসান সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধের ব্যাপারে ঢাকায় বিজিএমইএ’র সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কারখানার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Are we trying to get ‘everything, everywhere, all at once’?

The euphoria of August 5, and the momentous days leading up to it, especially since July 15, are now being overshadowed by a cloud of uncertainty.

6h ago