আত্মজীবনী লিখছেন আবুল হায়াত
জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল হায়াত দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ের নানা শাখায় কাজ করছেন। অভিনয় ছাড়াও নাটক পরিচালনা এবং নাটক লিখেছেন। এতকিছুর পরও আবুল হায়াত লেখালেখিও করেন। প্রতি বছরের বইমেলায় তার বই প্রকাশিত হয়।
আবুল হায়াত এবার নতুন লেখায় মনোনিবেশ করেছেন। ফেলে আসা জীবনের গল্প বইয়ের পাতায় লিপিবদ্ধ করতে আত্মজীবনী লিখতে শুরু করেছেন।
আজ সোমবার সকালে আবুল হায়াত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘লেখালেখিটা করি শখের বশে। এটা আমার নেশাও বলা চলে। আত্মজীবনীটা ভালোভাবে শেষ করতে চাই। এখন পর্যন্ত শৈশব ও কৈশোরকাল পর্ব লিখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আত্মজীবনী মানে তো অনেক বড় ব্যাপার। অনেক কথা উঠে আসবে সেখানে। আমার অভিনয় জীবনটাই তো বহু বছরের। এছাড়া জীবনের আরও অনেক ঘটনা আছে- যা তুলে ধরবার চেষ্টা করব।’
করোনার শুরুর দিকে একটি মঞ্চ নাটকও লিখেছেন তিনি। ১৯৯১ সালে তার লেখা প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। বইটির নাম আপ্লুত মরু। সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে লিখে আসছেন।
তার লেখা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই- শোধ, জীবন খাতার ফুটনোট, মিতুর গল্প, এসো নীপবনে, ঢাকামি, জিম্মি, নাটকের বই প্রিয় অপ্রিয় ইত্যাদি।
চলতি বছর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা গল্পের বই স্বপ্নের বৃষ্টি।
আবুল হায়াত টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন ১৯৬৯ সালে। তার অভিনীত প্রথম নাটক ইডিপাস। মঞ্চে তার অভিনীত প্রথম নাটকের নাম বাকি ইতিহাস।
তার নাটকের দল নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়। মঞ্চে সব শেষ অভিনয় করেন তিন বছর আগে দেওয়ান গাজীর কিসসা নাটকে।
অভিনয় শিল্পে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন একুশে পদক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা- আগুনের পরশমণি, তিতাস একটি নদীর নাম, জয়যাত্রা, দারুচিনি দ্বীপ, অজ্ঞাতনামা, কেয়ামত থেকে কেয়ামত ইত্যাদি। সর্বশেষ তৌকীর আহমেদের সিনেমায় অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত।
তার অভিনীত আলোচিত টিভি নাটকের মধ্যে আছে- এইসব দিনরাত্রি, অয়োময়, বহুব্রীহি, নক্ষত্রের রাত, আজ রবিবার, খেলা, শুকনো ফুল রঙিন ফুল, দ্বিতীয় জন্ম, নদীর নাম নয়নতারা, জোছনার ফুল ইত্যাদি।
Comments