আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তামিমের ১৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি

ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম দুই ওয়ানডেতে সাজঘরে ফিরেছিলেন দ্রুত, দলও পড়েছিল চাপে। তৃতীয় ম্যাচে সব যেন পুষিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় মাঠে নেমেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল! তিনশো ছোঁয়া লক্ষ্য তাড়ায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

মঙ্গলবার হারারেতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের ২৯৮ রানের জবাবে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, সফরকারীদের সংগ্রহ ৩০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৩ রান। ক্রিজে আছেন সেঞ্চুরিয়ান তামিম ৮৯ বলে ১০৫ ও মোহাম্মদ মিঠুন ১৩ বলে ৮ রানে।

বাঁহাতি ওপেনার তামিম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান ৪৬ বলে। তিনি পরের পঞ্চাশ রান পূরণ করেন আরও দ্রুত। ৮৭ বলে আসে তার সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছাতে তিনি মারেন ৭ চার ও ৩ ছক্কা। ৩০তম ওভারে টেন্ডাই চাতারার প্রথম বলটি ছিল ফুল লেংথের ও অফ স্টাম্পের বাইরে। তামিম হাঁকান সজোরে। মিড-অফে থাকা ফিল্ডারের হাত গলে বল সীমানার বাইরে চলে গেলে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান তিনি।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের এটি ১৪তম সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার চতুর্থ। তিনি আগের দুটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। গত বছর সিলেটে ১৫৮ ও অপরাজিত ১২৮ রানের টানা অসাধারণ দুইটি ইনিংস খেলেছিলেন।

এদিনের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো। বোলাররা তেমন সুবিধা না পাওয়ায় বাড়তি কোনো ঝুঁকি না নিলেও রান তোলা সহজ। বাংলাদেশের দুই ওপেনার সেই মন্ত্র মেনে খেলেন অনায়াসে, দলকে দেন ভালো শুরু।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হয় বাংলাদেশের। চাতারার শেষ তিন বলে যথক্রমে ১ ছক্কা ও ২ চার মারেন তামিম। সবমিলিয়ে ওই ওভার থেকে আসে ১৯ রান।

পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলা বাংলাদেশ আরেক ওপেনার লিটন দাসকে হারায় ১৪তম ওভারে। সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজ হয়ে যায়। শর্ট ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ লুফে নেন টাডিওয়ানাশে মারুমানি।

পেসাররা সুবিধা করতে পারছিলেন না দেখে ওই ওভারেই আক্রমণে স্পিন আনেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। আর ওয়েসলি মাধেভেরে শেষ ডেলিভারিতে পান সাফল্য। ৩৭ বলে ৪ চারে ৩২ করে সাজঘরে ফেরেন লিটন।

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তামিমের দ্বিতীয় উইকেট জুটিও জমে উঠেছিল। সেটার ইতি ঘটে ৪২ বলে ৩০ করা সাকিবের বিদায়ে। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক লুক জঙ্গুয়ের অনেক বাইরের বল মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। তাতে ইতি ঘটে ৬৯ বলে ৫৯ রানের জুটির।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৯৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ তাই সামনে পেয়েছে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। স্বাগতিকদের হয়ে ৯১ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে ওপেনিংয়ে নামা রেজিস চাকাভার ব্যাট থেকে। 

সিকান্দার রাজা ৫৪ বলে ৫৭ আর রায়ান বার্ল মাত্র ৪৩ বলে করেন ৫৯ রান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ১১২ রান। তাদের ঝড়ে শেষ ১০ ওভারে ৯৪ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।

একাদশে ফেরা বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৫৭ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সমানসংখ্যক উইকেট নিলেও ছিলেন ভীষণ খরুচে। তার ১০ ওভারে আসে ৮৭ রান।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

28m ago