ফরিদপুর

অনুমতি ছাড়াই রেল বিভাগের জায়গায় ইটের সড়ক

ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে রেলওয়ের অনুমতি ছাড়াই রেল বিভাগের জায়গায় ৫২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ইটের সড়ক নির্মাণ করেছে বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদ। তবে, আজ সোমবার থেকে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখির রেলক্রসিং এলাকায় উপজেলা পরিষদের নির্মিত সড়কের ইট তুলতে শুরু করেছে রেল বিভাগ।

জানা গেছে, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে স্থানীয় সরকার বিভাগের (এডিপি) উদ্যোগে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে রেল সড়কের পাশে ইটের সড়কটি নির্মাণ করে উপজেলা পরিষদ। কিন্তু, আজ সকাল থেকে ওই রাস্তার ইট তুলে পাশে রাখতে দেখা যায় রেলের কর্মচারীদের।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী রেল স্টেশনের সুপারভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রেললাইনের পাশে ইট বিছিয়ে রেলের জমিতে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এজন্য রেল বিভাগের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ইটের সড়কটি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। কারণ, এই সড়কে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে আজ থেকে ইট তুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।'

চতুল ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান বলেন, 'আমি রেলের পাশ দিয়ে মাটি কেটে জনসাধারণের চলাচলের জন্য বেশ কয়েকবার সড়কটি মেরামত করেছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তায় ইট বসিয়ে কাজ করতে গেলে রেল বিভাগ বাধা দেয়। তারপর আর ইটের কাজ করিনি। তবে, যারা এখানে ইটের সড়ক করেছে তারা অবশ্যই রাষ্ট্রীয় অর্থ নষ্ট করেছেন।'

উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, 'রাস্তার নাম তো আমি দেই না। রাস্তার নাম দেয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এডিপির ফান্ডের টাকা চেয়ারম্যান বণ্টন করেন। আমি শুধু টেন্ডার দেই।'

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বোয়ালমারী পৌরসভায় রেললাইনের পাশ দিয়ে আগে এ জাতীয় অনেক সড়ক করা হয়েছে। তখনো রেলের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি রেল বিভাগ পরবর্তীতে কোনো আপত্তি তোলেনি। তবে, পৌরসভার বাইরে ওই সড়ক করেত রেলের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে তা আমরা বুঝতে পারিনি।'

তিনি আরও বলেন, 'রেলওয়ে একটি সরকারি সংস্থা। তাদের এ উদ্যোগ নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। যেহেতু কাজ করেছি, সেটা আমাদের ভুল হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

8h ago