ব্র্যাথওয়েট-হোল্ডারের ব্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড

পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে ব্যাট করতে গিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোস্টন চেজ, জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সঙ্গে ছোট দুই জুটির পর লম্বা সময় পাশে পেলেন জেসন হোল্ডারকে। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাটে ক্যারিবিয়ানরা পেল লিড। তবে নব্বুইয়ের ঘরে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়ে আক্ষেপে পুড়লেন ব্র্যাথওয়েট।

কিংসটনের স্যাবাইনা পার্কে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৪ রানে এগিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানের ২১৭ রানের জবাবে কিছুটা মন্থর গতিতে ৮ উইকেটে ২৫১ রান তুলে দিন পার করেছে তারা।

অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ২২১ বলে ১২ চারে করেন সর্বোচ্চ ৯৭ রান। ১০৮ বলে ১০ চারে ৫৮ করে যান হোল্ডার।

আগের দিনের ২ রানে ২ উইকেট নিয়ে নেমে সকালের শুরুর সময়টা অনায়াসে পার করে দেন ব্র্যাথওয়েট-চেজ। প্রথম ঘণ্টার পর গিয়ে পড়ে উইকেট। দলের ৫১ রানে হাসান আলির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২১ করা চেজ।

এরপর ব্ল্যাকউডকে নিয়েও জুটি জমিয়ে তুলেছিলেন ব্র্যাথওয়েট। স্বাগতিকরা কঠিন সময় পার করে দেখছিল আলোর রেখা। থিতু হওয়া ব্ল্যাকউড ৪৯ রানের জুটির পর করে বসেন ভুল। শাহীন আফ্রিদিকে লফটেড ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড অনে।

ঠিক পরের বলেই আবার উইকেট। কাইল মেয়ার্সকে পেয়ে বল ভেতরে ঢুকিয়েছিলেন শাহীন। তাতে পরাস্ত হয়ে গোল্ডান ডাক নিয়ে এলবিডবলিউতে বিদায় নেন মেয়ার্স। হ্যাটট্রিক বল ঠেকানোর পরই ফিরতে পারতেন হোল্ডারও। মাঠের আম্পায়ার তাকে এলবিডব্লিউর আউট দিয়েছিলেন, রিভিউতে বাঁচেন সাবেক উইন্ডিজ কাপ্তান।

১০০ রানে ৫ উইকেট পড়া যাওয়ার কঠিন অবস্থা থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় উইন্ডিজ। ব্ল্যাকউড মন দেন টিকে থাকায়, হোল্ডার থিতু হয়ে রান বাড়ান। পাকিস্তানিদের বোলিংও ক্লান্তির ছাপে আলগা হতে থাকেন। দুজনের জমে উঠতে সমস্যা হয়নি।

ছক্কা মেরে হোল্ডার ফিফটি পেরিয়ে যাওয়ার পর ভাঙ্গে ৯৬ রানের এই জুটি।  ফাহিম আশরাফের মিডিয়াম পেসে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হোল্ডার।

কিপার ব্যাটসম্যান জশুয়া ডি সিলভা আসেন অধিনায়ককে সঙ্গ দিতে। ঠিকঠাক এগিয়ে যাচ্ছিল সব। চোয়ালবদ্ধ ইনিংসটা তিন অঙ্কের পূর্ণতার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। কিন্তু মাত্র ৩ রানের জন্য তা হয়নি। হাসান আলির থ্রোতে থামতে হয় ব্র্যাথওয়েটকে। ততক্ষণে অবশ্য লিড নিয়ে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে কেমার রোচকে নিয়ে লিড বাড়ান জশুয়া। শেষ বিকেলে রোচ মোহাম্মদ আব্বাসের শিকার হলেও ২০ রানে থাকা জশুয়া জোমেল ওয়ারিকনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃতীয় দিনের সকালে আরও কিছু রান যোগ করার মিশন তাদের।