এমন সমস্যাই চান পাপন

এইতো কদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেননি তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিমের মতো তারকা খেলোয়াড়রা। কিন্তু তারপরও সহজেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাও বেশ দাপট দেখিয়ে। এবার নিউজিল্যান্ড সিরিজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন মুশফিক-তামিম-লিটনরা। তাদের একাদশে রাখতে হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পারফর্ম করা কাউকেই বাদ দিতে হবে। সবমিলিয়ে মধুর সমস্যায় বাংলাদেশ দল। আর এমন সমস্যাই চান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। 

প্রায় চার বছর পর অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এজিএম শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাইপলাইনের কথা বলেন পাপন, 'অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি আমাদের খেলোয়াড় সংকট। বিকল্প ছিল না। এখন বেশ কিছু খেলোয়াড় আমাদের আছে। উদাহরণ হিসবে যদি বলি এই যে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে। নাইম শেখ, আফিফ হোসেন অসাধারণ করেছে। এর বাইরেও অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে যে ছেলেগুলো এলো শরিফুল।'

দলে এখন কেউ অপরিহার্য নয় বলেও দাবী করেন বিসিবি সভাপতি, 'এর আগে আমরা যাদের অপরিহার্য হিসেবে ধরতাম যে তাদের ছাড়া হবেই না। এখন সেটা নেই। এই যে একটা ছেলে এসে জায়গা করে নিল এটা গুড সাইন। এই যে নাসুম, শেখ মাহেদি জায়গা করে নিল এটা অসাধারণ। এই যে শামিম পাটোয়ারি, সেও অসাধারণ। এমনকি সোহান ফিরে এসেই যে খেলা দেখাচ্ছে, এটা বিশ্বমানের। ও বাংলাদেশের সেরা উইকেট কিপার এখন পর্যন্ত আমি যেটা দেখেছি।'

ফলে দলে মধুর সমস্যাই দেখছেন পাপন, 'এই যে দেখেন মুশফিক, লিটন দাস নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে ঢুকবে। ওরা যখন ঢুকবে কাকে বাদ দিবেন? হুট করেই তো কাউকে বাদ দেওয়া যায় না। যখন তামিম আসবে তখন কাকে বাদ দিবেন? আমি বলতে চাচ্ছি এটা একটা সমস্যা কিন্তু মধুর সমস্যা, এটাই আমরা চাই। এটা চাচ্ছিলাম কিন্তু এমনি এমনি তো আর হয়নি, পরিকল্পনার ফলেই এসেছে। গত দুই বছরে আরও ভালো ভালো খেলোয়াড় আসার কথা ছিল। কিন্তু আসেনি।'

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের জয় নিয়ে এতো আলোচনা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। জয়ের মূল কৃতিত্বই উইকেটের। যেখানে ভারতসহ পৃথিবীর সব দলই এ সংস্করণে স্পোর্টিং উইকেট ব্যবহার করেন, সেখানে বাংলাদেশ খেলেছে টার্নিং উইকেটে। এর আগে অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়। আর এ সিরিজ দুটিকেই উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে পাইপলাইন সমৃদ্ধির কথা বলেন বিসিবি প্রধান।

অথচ, এক সাকিব আল হাসান না খেললে হাহাকার পড়ে যায় বাংলাদেশ দলে। কেউ বলেন তার অভাব পূরণ করার মতো নয়, কেউ বলেন সাকিবের অভাব পূরণ করতে চাই দুইজন খেলোয়াড়। তেমনি শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের মতো খেলোয়াড়রা না খেললে তার প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পরে দলে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago