অস্ট্রেলিয়া সিরিজের থেকেও কঠিন উইকেট ছিল: সাকিব

Shakib Al Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ওভার থেকেই বল উঁচু-নিচু হচ্ছিল, স্পিনারা পাচ্ছিলেন অনেক টার্ন। পেসারদের বলে সাধারণত দেখা যায় সুইং। কিন্তু মোস্তফিজুর রহমানের বলও যেন টার্ন করে এদিক-ওদিক ছুটছিল। এমন উইকেটে বাংলাদেশের আক্রমণে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই রান তুলতেও ১৫ ওভার খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পরে ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসান বললেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চেয়েও এই উইকেট অনেক কঠিন।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার হারায় বাংলাদেশ। ৭ উইকেটের এই জয়ে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে আলোচনায় মিরপুরের ২২ গজ।

অনভিজ্ঞতায় ভরা কিউইরা বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে রীতিমতো খাবি খেয়েছে। ১৬.৫ ওভারে তারা অলআউট হয় ৬০ রানে।

ওই রান টপকাতেও হিমশিম খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ৭ রানের ভেতরই আউট হয়ে যান দুই ওপেনার। পরে জুটি বেঁধে দলকে পথে রাখেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ৩০ রানের জুটির পর ২৫ রান করে ফেরেন সাকিব। মুশফিককে নিয়ে বাকিটা সারেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

বল হাতে ১০ রানে ২ উইকেট আর ব্যাট হাতে ২৫ রানে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব। ম্যাচশেষে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার প্রতিপক্ষের দুর্দশায় মূল দায় দেখছেন উইকেটের, 'অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেও কঠিন উইকেট ছিল। তার সঙ্গে আমরাও ভালো জায়গায় বল করেছি। নিউজিল্যান্ড অনেক অনভিজ্ঞ দল এই কন্ডিশনে। স্বাভাবিকভাবেই সংগ্রাম করেছে।'

এই কঠিন উইকেটে রান বের করার কিছু উপায়ও বলেছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার, 'এখানে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যত বেশি সিঙ্গেল নেওয়া বা রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট। এই দুটো জিনিস আমার মনে হয়। কারণ, বাউন্ডারি মারাটা খুবই কঠিন। সবসময় ইতিবাচক মনোভাব রাখলে সিঙ্গেল বা ডাবলস নেওয়া সহজ হয়। তখন ব্যাটসম্যানের চাপ সরে যায়। সেট হয়ে গেলে একটা-দুইটা বাজে বল পেলে রান করা যায়। কাজেই অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ব্যাটসম্যানরা যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
NCP response to July Declaration

NCP among 16 parties clear EC’s preliminary registration screening: official

The EC's committee on political party registration verification and selection held a meeting yesterday at the EC Secretariat

47m ago