জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কেনা যাবে সর্বোচ্চ ২টি সিম: বিটিআরসি

btrc logo

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একজন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে সর্বোচ্চ দুটি সিম কার্ড কিনতে পারবেন।

এই সিম কার্ডগুলো ক্রয় পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে নিবন্ধন করতে হবে। কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া এনআইডির কপি দিয়ে অপারেটরের কাছ থেকে নিবন্ধন করা না হলে সেগুলো ব্লক করে দেওয়া হতে পারে।

সিম কার্ড ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধ দমনের বিষয়ে সম্প্রতি এক বৈঠকে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত জানায়।

বর্তমানে একজন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী তার এনআইডি কার্ডের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম কার্ড কিনতে পারেন।

একইসঙ্গে যাদের এনআইডি বা স্মার্ট এনআইডি নেই, তাদেরকে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে সিম কার্ড কেনার অনুমোদন দিয়েছে বিটিআরসি।

এখন পর্যন্ত বিটিআরসির সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্মে একই ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্টের তথ্যের সংযুক্তি নেই। তবে এখন পর্যন্ত দেশে বিক্রি হওয়া সব সিম কার্ডের নথি সংরক্ষিত আছে।

যেহেতু এনআইডি, স্মার্ট এনআইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্ম নিবন্ধন সনদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কোনো উপায় নেই, তাই একজন গ্রাহক চাইলে এই পাঁচ ধরণের নথির বিপরীতে ১৫টি করে সর্বমোট ৭৫টি সিম কার্ডের মালিক হতে পারেন। যা সরকারের নীতিমালার বিরোধী।

বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এই সংখ্যাটি কমে আসবে।

ইতোমধ্যে মোবাইল অপারেটরদের এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি সূত্র।

বিকল্প নথি দিয়ে কেনা সিমের ছয় মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার একমাস আগে গ্রাহকের মোবাইলে একটি মেসেজ পাঠিয়ে তারিখটি আবারও জানিয়ে দিতে হবে।

এ ছাড়াও, এনআইডি অথবা স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পুননিবন্ধনের ক্ষেত্রেও এসএমএস পাঠানো হবে। যদি নিবন্ধন করা না হয়, তাহলে ফোন নম্বরগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এ প্রসঙ্গে বলেন, সিম কার্ডের অপব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য এই উদ্যোগটি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'এই বিষয়টিকে একটি আইনের আওতায় আনা হবে। আইনটি বাংলাদেশি ও বিদেশি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে।'

কমিশন সূত্র জানায়, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দেশনা জারি করার ৯০ দিনের মধ্যেই বিকল্প নথি দিয়ে কেনা অতিরিক্ত সিম কার্ডগুলোর নিবন্ধন বাতিল করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিটিআরসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে ১৫টি সিম কার্ড দিয়েছেন ১৫৪ জন। এ ছাড়াও, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও একটি পাসপোর্টের বিপরীতে ১৫টি করে সিম কার্ড নিয়েছেন যথাক্রমে ২৬ ও ৮৪ জন।

বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, সকল ক্ষেত্রে সিমের নিবন্ধন, যাচাই, পুননিবন্ধন, বন্ধ সিম চালু করা, প্রতিস্থাপন, সিম বন্ধ করে দেওয়া ইত্যাদি কাজ শুধুমাত্র অপারেটরদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে করতে হবে। এই কাজগুলো কোনো খুচরা বিক্রেতা করতে পারবেন না।

 

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Shammo murder: DU students, teachers besiege Shahbagh Police Station demanding justice

The protesters left the area following a meeting with additional deputy commissioner of Ramna Zone

1h ago