চিলিকে হারিয়ে টানা সপ্তম জয় ব্রাজিলের

নিষেধাজ্ঞার কারণে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড় কাউকেই পাইনি ব্রাজিল। তাই চিলির বিপক্ষে এক প্রকার দ্বিতীয় সারির দলই নামাতে হয়েছে ব্রাজিলকে। তার প্রভাবও মাঠে দেখা গেল স্পষ্ট। তবে কষ্টদায়ক হলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এটা ব্রাজিলের টানা সপ্তম জয়।

শুক্রবার এস্তাদিও মনুমেন্তাল দাভিদ আরেয়ানোতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে চিলিকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় এভারটন রিবেইরো।

সাত ম্যাচের সাতটিতেই জয় তুলে ব্রাজিলের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে দলটি। সাত ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে আছে চিলি।

এদিন অবশ্য ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঝ মাঠের দখল রেখেই খেলেছিল চিলি। ৬১ শতাংশ বল পায়ে ছিল তাদের। সুযোগও ব্রাজিলের চেয়ে দুটি বেশি করে তারা। যদিও বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। তবে শটও দুটি বেশি ছিল তাদের। কিন্তু কাজের কাজটি করতে ব্যর্থ হয় চিলি।

শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। প্রথম ছয় মিনিটেই সুযোগ ছিল দুই দলের। তবে গোল করার মতো প্রথম সুযোগটি ২৭তম মিনিটে পায় ব্রাজিল। প্রায় ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি নেইমার। 

তিন মিনিট পর ফ্রি কিক থেকে নেওয়া আর্তুরো ভিদালের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ওয়েভারটন। ফিরতি বলে এদুয়ার্দো ভার্গেসের হেডও ব্যর্থ করে দেন তিনি। ৩৩তম মিনিট জালে বল পাঠিয়েছিলেন চিলির ইভান মোরালেস। অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় সে গোল।

৩৯তম মিনিটে ভিদালের আরও একটি দূরপাল্লার দারুণ শট ঠেকান ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর সুযোগ ছিল ব্রাজিলেরও। কাসেমিরোর শট অবশ্য সহজেই ধরে ফেলেন চিলির গোলরক্ষক ক্লাদিও ব্রাভো।

দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে বিপদ হতে পারতো ব্রাজিলের। ডি-বক্সে জটলা সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডাররা। ৬৩তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় ব্রাজিল। ডান প্রান্ত থেকে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সে গ্যাব্রিয়েল বারবোসাকে কাটব্যাক করেন দানিলো। বল ধরে নেইমারকে বাড়ান বারবোসা। ভালো শট নিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে আলগা পেয়ে যান এভারটন। দারুণ এক শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এ ফ্লামিঙ্গো ফরোয়ার্ডের।

৬৮তম মিনিটে বিপদ প্রায় ডেকে এনে ছিলেন চিলির এক খেলোয়াড়। নেইমারের ফ্রি কিক ঠেকাতে গিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন নেইমারের পায়ে। তবে তার শট দুই দফা ব্লক করে বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডাররা

৭২তম মিনিটে নেইমারের ক্রস থেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন লুকাস পাকুয়েতা। তবে চিলির ডিফেন্ডারের দৃঢ়তায় কোনো বিপদ হয়নি। যোগ করা সময়ে গোলরক্ষক ব্রাভোর ভুলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন নেইমার। তবে ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় এবারও রক্ষা পায় চিলি। কিন্তু হার এড়াতে পারেনি তারা।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago