মালিঙ্গার ঘাড়ে সাকিবের নিঃশ্বাস

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১০৪ উইকেট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিজের প্রথম তিন ওভারে পেয়ে যান ২ উইকেট। চতুর্থ ও শেষ ওভারের প্রথম বলে তার এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে সাড়াও দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান নিউজিল্যান্ডের কোল ম্যাককনকি। তাতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি লাসিথ মালিঙ্গাকে ছোঁয়ার অপেক্ষা বেড়েছে সাকিবের।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব। চার ওভারের কোটা পূরণ করে তিনি দেন ২৯ রান।

৮৬ টি-টোয়েন্টিতে ২০.২২ গড়ে সাকিবের উইকেটসংখ্যা ১০৬টি। তিনি নিঃশ্বাস ফেলছেন শীর্ষে থাকা শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা পেসার মালিঙ্গার ঘাড়ে। তিনি ২০.৭৯ গড়ে ১০৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৮৪ ম্যাচে।

চলতি সিরিজেই মালিঙ্গাকে টপকে চূড়ায় পৌঁছে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে সাকিবের। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে তিনি শিকার করেছেন ৪ উইকেট। এখনও বাকি আছে তিনটি ম্যাচ।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে আঘাত হানেন সাকিব। তার হাত ধরে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ছক্কা হজমের পরের ডেলিভারিতেই রাচিন রবীন্দ্রকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান সাকিব। তার শর্ট লেংথের বল পুল করতে গিয়ে ব্যাট লাগাতে ব্যর্থ হন কিউই ওপেনার। বল রবীন্দ্রর পায়ে লাগার পর স্টাম্প ভেঙে দেয়।

সাকিব আবার বল হাতে পান নবম ওভারে। ওই ওভারে ৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। তবে এক ওভার পরই বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। দলীয় ১৮ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জমে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট জুটি। ১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্বাগতিকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ৪৭ বলে ৪৩ রানের জুটির ইতি টানেন সাকিব।

বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন চারে নামা ডানহাতি ব্যাটসম্যান ইয়াং। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি ঠিকমতো। বল তার ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে চলে যায় পেছনে। শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সামনের দিকে ডাইভ দিয়ে নেন দুর্দান্ত ক্যাচ।

নিজের চতুর্থ ওভার করতে সাকিব আক্রমণে ফেরেন ইনিংসের ১৭তম ওভারে। প্রথম ডেলিভারিতে রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া ম্যাককনকি পরের বলটি এক্সট্রা কভারে উঠিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে থাকা ফিল্ডার পেছন দিকে অনেকটা দৌড়েও নাগাল পাননি। ওই ওভারটি ছিল ম্যাচে সাকিবের সবচেয়ে খরুচে। ১১ রান দেন তিনি।

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জিতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে স্বাগতিকদের তোলা ৬ উইকেটে ১৪৭ রানের জবাবে কিউইরা পুরো ওভার খেলে করতে পারে ৫ উইকেটে ১৩৭ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান দরকার ছিল ল্যাথামের দলের। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের ঘটনাবহুল ওভার থেকে ১৫ রানের বেশি নিতে পারেনি তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Violations reported after India, Pakistan agree to ceasefire

Blasts were heard in Srinagar and Jammu and projectiles and flashes were seen in the night sky over Jammu, similar to the events of the previous evening

35m ago