বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা ভারতে আটক

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা বিএসএফের হাতে আটক হওয়ার খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে বলে উত্তরবঙ্গ সংবাদ নামে ভারতের স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। আটক অবস্থায় তার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।

নর্থ বেঙ্গল বিএসএফের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও সোহেল রানাকে আটকের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে তারা টুইটে লিখেছে, অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পরিদর্শককে আটক করা হয়েছে। বিএসএফের একটি দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করে।

নর্থ বেঙ্গল বিএসএফের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ডিএমপির পরিদর্শককে আটকের কথা নিশ্চিত করা হয়।

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই সোহেল রানা। ই-অরেঞ্জের বর্তমান মালিক বীথি আক্তার। সোহেল রানা ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে।

বিএসএফকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, আটকের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল ও এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। শনিবার মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোহেল রানা বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ডিউটি করেছেন। এরপর তিনি আর থানায় আসেননি। এখন তিনি কোথায় আছেন সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই।'

বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশি আটক হয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এরকম কোনো তথ্য পাইনি। সোহেল রানা আটক হয়ে থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হবে।'

উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন গ্রাহকরা। ওই মামলায় ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বীথি আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানার নাম উল্লেখ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Abnormally high-priced purchases by Power Grid Company of Bangladesh

Goods worth Tk 16k imported at Tk 2.63 crore

State-run Power Grid Company of Bangladesh Ltd (PGCBL) imported 68 kilograms of tower bolts, nuts and washers from India for a whopping $2,39,695 or Tk 2.63 crore, which is 1,619 times the contract value.

13h ago