৬০ রানের বিপর্যয় কাটিয়ে যেভাবে ঘুরে দাঁড়াল নিউজিল্যান্ড

Azaz patel & Henry nicholls
বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে দায়িত্ব নেন হেনরি নিকোলস, বল হাতে কাজ সারেন এজাজ প্যাটেল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ খেলতে এসে প্রথম ম্যাচেই চরম বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড দল। ব্যাট করার জন্য দুরূহ উইকেটে গুটিয়ে যায় মাত্র ৬০ রানে। এই বিপর্যয় সামলে পরের ম্যাচেই লড়াই জমিয়ে তুলে তারা। তৃতীয় ম্যাচে এসে উলটো বাংলাদেশকে ৭৬ রানে আটকে তুলে নেয় প্রথম জয়। ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলস জানাচ্ছেন, যেভাবে তারা সামলে নিয়েছেন ওই বিরূপ পরিস্থিতি।

রোববার নিউজিল্যান্ডের এই দলটির জন্য ছিল দারুণ এক দিন। আগে ব্যাট করে মন্থর উইকেটে তারা জড়ো করে ১২৮ রান। ওই রান তুলতে ১৯.৪ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৭৬ রানে।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ব্যবধান এখন ২-১। সিরিজ জেতার আশা এখনো টিকে সফরকারীদের। অথচ সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের কাজটা হবে খুব সহজ।

সোমবার দলের হয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে নিকোলস জানালেন বিশাল ধাক্কা খাওয়ার পর কেমন ছিল দলের আবহ,  'এটা ছিল চরম হতাশার (৬০ রানে অলআউট হওয়া) । সফরটা একটা কঠিন পরিস্থিতি দিয়ে শুরু হয়েছিল। আমরা পেছনে তাকালে এখন বুঝি কতটা কঠিন ছিল উইকেট। আমরা পরে দল হিসেবে বসেছি, সবাই সবাইকে আস্থায় নিয়েছি এবং পরিকল্পনা করেছি উন্নতির। আমরা জানতাম আমাদের মতো করে প্রয়োগ করতে পারলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ থাকবে। '

বাংলাদেশ সফরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একজন সদস্যকেও পাঠায়নি নিউজিল্যান্ড। অনভিজ্ঞতায় ঠাসা এক ঝাঁক খেলোয়াড় নিয়ে এলেও তাদের শরীরী ভাষা ছিল ইতিবাচক, প্রস্তুতিও শতভাগ।

এই সফরের পর পাকিস্তানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে যাবে তারা। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে অবশ্য যোগ দেবেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডের পাঁচজন। নিকোলস মনে করেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে পাকিস্তান সফরে,  'আমরা পাকিস্তান সিরিজের কথাও ভাবছি। এখানে ভালই শেখা হচ্ছে, আমরা জানি আমাদের দক্ষতা আছে। কেবল ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটা রপ্ত করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Graphical representation of navigating the job market without connections

No good news in job creation

Skills mismatch persists with a gap between education and job needs; no major reforms seen in the past year, says an economist

56m ago