শরীয়তপুর

সদর হাসপাতালে শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি দেড় বছরের এক শিশু রোগীকে শিরাপথে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, এক্ষেত্রে দায়ী নার্সকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন। ছবি: স্টার

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি দেড় বছরের এক শিশু রোগীকে শিরাপথে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, এক্ষেত্রে দায়ী নার্সকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুটি শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বালুচরা গ্রামের মো. মিজানুর রহমান পাহাড়ের মেয়ে। শিশুটির বাবা আজ দ্য ডেইলি স্টারকে অভিযোগ করে বলেন, তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ডায়রিয়া নিয়ে আমার মেয়েকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নার্স মাহমুদা আফরোজ শিরাপথে একটি ডেক্সট্রোজ স্যালাইন দেন। স্যালাইন অর্ধেক শেষ হওয়ার পর দেখি দুই মাস আগেই এর মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। বিষয়টি নার্সকে জানানোর পর তিনি পুরনোটি খুলে নতুন আরেকটি স্যালাইন লাগিয়ে দেন। মেয়েকে নিয়ে এখন ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি। তার পেট ফুলে গেছে এবং তাকে আগের চেয়ে দুর্বল দেখাচ্ছে। মেয়াদ না দেখে স্যালাইন দিয়ে নার্স তার দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। আমি তার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে কোথাও লিখিত অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে শিশুটির বাবা বলেন, শরীয়তপুর সিভিল সার্জন এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে অভিযোগ দিয়েছি। লিখিত অভিযোগ করতে চাইলে তারা বলেন, আপাতত এর দরকার নেই। মৌখিক অভিযোগই যথেষ্ট। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। গত দুই-তিন মাস হাসপাতালে সরকারি স্যালাইন ছিল না। কিছুদিন আগে সরকারি বরাদ্দ এসেছে। সেখান থেকে একটি কার্টুন খুলে চার-পাঁচ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি স্যালাইন ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। যেকোনো ওষুধ দেওয়ার আগে মেয়াদ দেখে নিশ্চিত হওয়ার নিয়ম আছে। নার্স মাহমুদা আফরোজ এখানে দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। এ জন্য আমরা তাকে শোকজ করেছি। তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিষয়ে নার্স মাহমুদ আফরোজের বক্তব্য নিতে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে তাকে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

8h ago