৭২ শতাংশ তরুণ স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে: জরিপ

দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর ৮৬ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশের বেশি তরুণের ইন্টারনেট সুবিধা আছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত জরিপের এই ফল প্রকাশ করা হয়। 
স্টার ফাইল ছবি

দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর ৮৬ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশের বেশি তরুণের ইন্টারনেট সুবিধা আছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত জরিপের এই ফল প্রকাশ করা হয়। 

ব্র্যাক পরিচালিত জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতিকালে মাত্র ২৮ শতাংশ তরুণ কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুসন্ধান করেছেন।     

ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তারা দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী কর্মসংস্থানের বিষয়ে তরুণদের ধারণা শীর্ষক একটি জপির পরিচালনা করেছে। 

জরিপে দেখা গেছে, ৬৫ শতাং অংশগ্রহণকারী তরুণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে কার্যকর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মনে করেন।

'বাংলাদেশের কর্মমুখী শিক্ষায় যুবদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে জরিপটি প্রকাশ করা হয়।  
 
অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কে এ এম মোরশেদ বলেন, 'সমাজে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাকে লজ্জাজনক মনে করা হয়। আমাদের অবশ্যই পুরোপুরিভাবে সমাজের অংশ হতে হবে এবং এই অবস্থার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে হবে।'

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ব্র্যাকের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ইনচার্জ তাসমিয়া তাবাসসুম রহমান বলেন, 'বাংলাদেশে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিতদের কাজকে এখনো (ব্লু  কলার জব) শ্রমসধ্য কাজ মনে করা হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'এসব কারণে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে সমাজকে জানানো প্রয়োজন।'

যদিও সবগুলো জেলায় সরকার পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, কিন্তু মানসিকতার পরিবর্তন আনা প্রথম কাজ হওয়া উচিত বলে মনে করেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তরিকুল ইসলাম। 

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, 'দক্ষতা উন্নয়ন ছাড়া আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারব না।'

বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রুপ পিটারসেন গুরুত্ব দিয়ে তরুণদের কথা শোনেন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে সংলাপে যোগ দেন।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Women MPs in reserved seats: How empowered are they really?

Fifty-two years ago, a provision was included in the constitution to reserve seats for women in parliament for a greater representation of women in the legislative body.

9h ago