রাজনীতি

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জেলা অচলের হুমকি জাতীয় পার্টির

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনের ওপর বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আবারও মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জেলা জাতীয় পার্টি।
ছবি: স্টার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনের ওপর বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আবারও মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জেলা জাতীয় পার্টি।

আজ রোববার দুপুরে জেলা জাতীয় পার্টি মাইজদী টাউন হল মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে।  

সমাবেশে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে পুরো জেলা অচল এবং বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহাম্মেদ মিঠু।

বিক্ষোভ চলাকালীন টাউন হলের মোড় প্রধান সড়কে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহাম্মেদ মিঠুর সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি অহিদ উদ্দিন মুকুল, নজরুল ইসলাম, মো. নুর নবী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, মোছাদ্দেকুর রহমান, আলী হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি মিলন সিকদার প্রমুখ।

জাপা নেতারা এই বিষয়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও নোয়াখালী -৪ আসনে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নির্যাতিত স্বপন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট- কোম্পানীগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রদপ্রার্থী ছিল। এ ছাড়াও তিনি  নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোখলেছের রহমান পন্ডিত বাড়ির জিয়াউল হক জিয়ার ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জাপা নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপনকে বসুরহাট বাজারের কালামিয়া ম্যানশনের সামনে থেকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তুলে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তাকে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেন তার ছেলে মইনুল ইসলাম শাওন।

শাওনের অভিযোগ, 'সন্ত্রাসীরা বাবার সঙ্গে থাকা টাকা, মোটরসাইকেল, মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তাকে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে শুধু কোনো রকম জীবনটা রেখেছে। কোম্পানীগঞ্জে রাজনীতিতে মির্জার বিরুদ্ধে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ দেয় মির্জা। তার প্রতিপক্ষরা যে সকল অনিয়ম করে নাই, সে গুলো করছে বলে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মেম্বারকে ডেকে নিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় তার কাছে বাবা হস্তান্তর করেন।'

এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এখন তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন ছেলে মইনুল ইসলাম শাওন।

Comments

The Daily Star  | English

IMF agrees to lend $1.15 billion to Bangladesh in third tranche

The International Monetary Fund (IMF) has agreed to provide $1.15 billion to Bangladesh in the third instalment under its multi-billion-dollar loan programme.

2h ago