বাংলাদেশ
ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ২০ নেতা-কর্মীর জামিন

আদালতে যা বললেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কারাবন্দী ২০ নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন। আজ বেলা সাড়ে ৩টায় মহানগর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর জামিন শুনানির সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ২০ নেতা-কর্মীর জামিন শুনানির পর আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কারাবন্দী ২০ নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন। আজ বেলা সাড়ে ৩টায় মহানগর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর জামিন শুনানির সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোট ৫৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আজ এই ২০ জনের জামিনের মধ্য দিয়ে গ্রেপ্তার সবাই জামিন পেলেন।

আসামি পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট এমাদুল বশীর ও অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম।

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাগরিক হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শুনানির সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে তার বক্তব্য জানান।

শুনানি শেষে আদালতের বাইরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, 'হ্যাঁ আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি কারণ আমি সেখানে বসে ছিলাম। উনাদের একটা অভ্যাস আইনজীবী ছাড়া কাউকে কথা বলার সুযোগ দেন না। তবে আমি চাইছিলাম বিচারক যেন নাগরিক হিসেবে ২ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেন।'

'বললাম, মাননীয় বিচারপতি এই ছাত্রদের কী অপরাধ? তারা তো আপনার কোর্টের ভেতরে কোনো স্লোগান দেয়নি। মাঠে ময়দানে তারা স্লোগান দিতেই পারে। তাদের হাতে কোনো লাঠি ছিল না অতএব তারা পুলিশের উপর কোন হামলা করতে পারে না। কথা বলা আমাদের নাগরিক অধিকার, তারা সেটাই করেছে। তাই আপনি সবকিছু বিবেচনা করে দেখেন এদের কী বিচার হওয়া উচিত,' বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, 'ছাত্ররা শ্লোগান দিয়েছে, এর জন্য ৬ মাস জেলে থাকতে হবে? এটা কেমন বিচার?'

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

11h ago