ঢাকার ৪০টি সিনেমা হলের ধুঁকে ধুঁকে চলছে ৮টি

ছবি: শেখ মেহেদি মোর্শেদ

এক দশক আগেও ৪০টি সিনেমা হল ছিল রাজধানীতে। বর্তমানে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১৬টিতে। সেগুলোর মধ্যে আবার চালু আছে মাত্র আটটি হল।

চালু থাকা হলগুলোর মধ্যে আছে, আনন্দ, ছন্দ, আজাদ, শ্যামলী, চিত্রামহল, সৈনিক ক্লাব, নিউ গুলশান ও গীত সংগীত। 
 
এছাড়া করোনার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, বলাকা, পূরবী, জোনাকী, গ্যারিসন, পদ্মা, শাহীন, বিজিবি অডিটোরিয়াম ও মধুমিতা সিনেমা হল। আগামীতে হয়তো কোনো উৎসবে চালু হতে পারে এসব সিনেমা হল। 

দর্শকের অভাবে গত পাঁচ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে, পূর্ণিমা, রাজমণি, অভিসার, পর্বত, ও এশিয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হল।
 
এসব হলগুলোর বাইরে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে রয়েছে 'স্টার সিনেপ্লে­ক্স', ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার, মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার, মিরপুরে সনি স্কয়ার স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস। এইসব প্রেক্ষাগৃহে মূলত বিদেশি সিনেমায় বেশি প্রদর্শিত হয়। 

ঢাকার যেসব হল চালু আছে সেগুলোর বেশিরভাগেরই ব্যবসায়িক চিত্র খুব একটা ভালো না। অধিকাংশ সময় হলগুলো থাকে দর্শকশূন্য। ভালো পরিবেশের অভাবে দর্শক হারিয়েছে অনেক আগে থেকেই। 

সিনেমা হল মালিক ও প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন যেসব সিনেমা হল চালু আছে, সেই হলগুলোও আগামীতে বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের নতুন পথের সন্ধান করতে হবে। ঢাকা শহরে এখন মাত্র আটটি সিনেমা হল চালু রয়েছে। বাকিগুলো করোনার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। এভাবে চলতে থাকলে বাকিগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। সরকার এগিয়ে না আসলে কিছুই করার থাকবে না।' 

'আনন্দ' ও 'ছন্দ' সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেকোনো দিন হয়তো খবর পাবেন এই দুটি সিনেমাহল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভালো মানের বাণিজ্যিক সিনেমা মুক্তি না পেলে হল বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এরমধ্যে আমাদের হলের বিদুৎ, পানির বিল, স্টাফদের বেতন দীর্ঘদিন ধরে দিতে পারছি না। খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কী করব ঠিক বুঝতে পারছি না।'

Comments

The Daily Star  | English

Advisory council set to hold emergency meeting this evening

The meeting will be held tonight at 8:00pm at the State Guest House, Jamuna

1h ago