পাঞ্জাবের বিপক্ষে মোস্তাফিজদের নাটকীয় জয়

জয়টা হাতের মুঠোতেই ছিল পাঞ্জাব কিংসের। শেষ দুই ওভারে চাই মাত্র ৮ রান। হাতে ৮টি উইকেট। নাটকের শুরু তখন থেকেই। অসাধারণ এক ওভার করে মাত্র ৪ রান দেন বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আর শেষ ওভারে তো দুর্দান্ত কার্তিক তিয়াগি। মাত্র ১ রান খরচ করে পেলেন দুই উইকেট। শেষ চার বলে কোনো রানই দিলেন না। ফলে রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালস।

বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নাটকীয় এক ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ২ রানে হারিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৫ রান করে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব।

লক্ষ্যটা ছোট ছিল না। ১৮৬ রানের। কিন্তু সে রানকে রীতিমতো মামুলী বানিয়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ১২ ওভার না যেতেই ওপেনিং জুটিতে করেন ১২০ রান। এরপর ৬ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরে আসে রাজস্থান।

কিন্তু রাজস্থান আরও এক রাশ হতাশ উপহার দেন এইডেন মার্করাম ও নিকোলাস পুরান। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান তুলে নিতে পারেনি দলটি। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেলস নিয়ে অপর প্রান্তে যান মার্করাম। পরের বলে আউট হয়ে যান পুরান। মার্করাম আর স্ট্রাইকই পাননি। চেয়ে চেয়ে দেখেছেন সতীর্থদের ব্যর্থতা। হেরেই যেতে হলো দলটিকে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন আগারওয়াল। ৪৩ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন রাহুল। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান করেন অধিনায়ক। ২২ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন পুরান। ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন মার্করাম।

জয়ের মূলনায়ক তিয়াগি ৪ ওভার বল করে ২৯ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান। উইকেট না পেলেও ভালো বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। চার ওভারে খরচ করেন ৩০ রান।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে রাজস্থান। দুই ওপেনার এভিন লুইস ও ইয়াশাসভি জাইসওয়াল গড়েন ৫৪ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙেন আর্শদিপ সিং। এরপর ১৪ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারায় তারা। তবে তৃতীয় উইকেটে লিয়াম লিভিংস্টোনের সঙ্গে জাইসওয়ালের ৪৮ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি।

এরপর অবশ্য আর্শদিপের তোপে পড়ে রাজস্থান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। অন্যথায় দলীয় সংগ্রহ আরও বড় হতে পারতো। পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলা দলটি ১৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৪ রান তুলেছিল। শেষ চার ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে মাত্র ২১ রান সংগ্রহ করতে পারে রাজস্থান। 

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন জাইসওয়াল। ৩৬ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। মাত্র ১৭ বলে ৪৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন মাহিপাল লামরোর। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ২১ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় লুইসের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। লিভিংস্টোন করেন ২৫ রান।

রাজস্থানের পক্ষে ৩২ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নিয়েছেন আর্শদিপ। টি-টোয়েন্টি তো বটেই ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম ফাইফার এ বাঁহাতি পেসারের। ২১ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান আরেক পেসার মোহাম্মদ সামি।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

5h ago