স্বাস্থ্য

লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্ক সংকট

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সেখানে কর্মরত ২৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সাজ্জাদ হোসাইন/স্টার

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সেখানে কর্মরত ২৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী।

এছাড়া, হাসপাতালের বাইরে কর্মরত ৪২ জন স্টাফও মাস্ক পাচ্ছেন না। গত ৫ মাস ধরে হাসপাতালটিতে মাস্ক সরবরাহ বন্ধ আছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে অবগত করেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি।

লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব নূর এ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'বর্তমানে স্থানীয়ভাবে অনুদান পাওয়া ২ হাজার মাস্ক আছে, তাও শেষের পথে। আমি এ হাসপাতালে যোগ দিয়েছি গত ৫ মাস আগে। এই সময়ে সরকারিভাবে মাস্ক সরবরাহ করা হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'যারা সাধারণ রোগী দেখেন, করোনা পরীক্ষা করেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও টিকা কেন্দ্রে আছেন তাদের প্রতিদিন মাস্ক লাগে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী মাস্ক মিলছে না। এ হাসপাতালে প্রতিদিন ৪ জন ডিউটি চিকিৎসক, ৭ জন নার্স, ৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও টিকা কার্যক্রমে ১০ জন নিয়োজিত আছেন। এ ছাড়া, হাসপাতালের বাইরে মাঠ পর্যায়ে ৪২ জন স্টাফ কাজ করেন। করোনার দেড় বছরের মধ্যে ফিল্ড স্টাফদের প্রতিজনকে ১ বক্স করে মাস্ক দেওয়া দেওয়া হয়েছে।'

'অনেক স্বাস্থ্যকর্মী মাস্ক চাইলে তাদের নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করার অনুরোধ করা হয়,' যোগ করেন তিনি।

এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান,  করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিতদের এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারের কথা থাকলেও সরবরাহ না থাকায় সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করছেন তারা।

লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. শিমুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালে মাস্কের সরবরাহ নেই। আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে মাস্ক কিনে ব্যবহার করছি। প্রতি ৩-৪ ঘণ্টা পর পর নতুন মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। অনেকে ২-৩টি সার্জিক্যাল মাস্কও ব্যবহার করেন।'

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্ক সরবরাহ করা হয়। তবে, ওই হাসপাতালের কেউ এ পর্যন্ত মাস্কের জন্য আবেদন করেননি। তারা স্থানীয়ভাবে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করছেন। এরপরও যদি মাস্ক লাগে তাহলে ব্যবস্থা করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

56m ago