কলকাতার জয়ে নারাইনের অলরাউন্ড নৈপুণ্য

ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

বোলারদের কল্যাণে দিল্লি ক্যাপিটালসকে অল্প রানে বেঁধে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় মাঝপথে ধাক্কা খেলেও ঘাবড়ে যায়নি তারা। নিতিশ রানার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সুনীল নারাইনের ক্যামিওতে ১০ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করল দলটি।

মঙ্গলবার আইপিএলে দিল্লিকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তোলে রিশভ পান্তের দিল্লি। জবাবে ১৮.২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩০ রান তুলে জয়ের স্বাদ পায় ওয়েন মরগ্যানের কলকাতা।

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চার ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও আগ্রাসী ছিলেন নারাইন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিন অলরাউন্ডার ম্যাচের শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে খেলেন ১০ বলে ২১ রানের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।

৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পঞ্চম ওভারে দিল্লির ব্যাটিংয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার লোকি ফার্গুসন। তার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। তিনি ৫ চারে ২০ বলে করেন ২৪ রান। তিনে নামা শ্রেয়াস আইয়ারকে টিকতে দেননি নারাইন।

তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক পান্তের সঙ্গে ওপেনার স্টিভেন স্মিথ যোগ করেন ৩৭ রান। ইনিংসের সর্বোচ্চ এই জুটি ভাঙলে পথ হারায় দিল্লি। এরপর মাত্র ১৫ রান তুলতে তারা হারায় আরও ৩ উইকেট।

৪ চারের সাহায্যে ৩৪ বলে ৩৯ রান করা স্মিথকে বোল্ড করেন ফার্গুসন। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় নেন শিমরন হেটমায়ার। পরে আক্সার প্যাটেলকেও রানের খাতা খুলতে দেননি তিনি। মাঝে ললিত যাদবকে শূন্য রানে ফেরান নারাইন।

পান্ত টিকেছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে মন্থর উইকেটে ঝড় তুলতে পারেননি তিনি। ৩ চারে ৩৬ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। কলকাতার হয়ে ২তি করে উইকেট নেন ফার্গুসন, নারাইন ও ভেঙ্কটেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতার কোনো জুটির রানই ছুঁতে পারেনি ৩০। তবে লক্ষ্য নাগালের মধ্যে হওয়ায় তাদের ওপর ভীষণ চাপ তৈরি করতে পারেনি দিল্লি। ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট অবদানে শেষ হাসি হাসে কলকাতা।

দ্বাদশ ওভারে ৬৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল দিল্লি। পাওয়ার প্লেতে ভেঙ্কটেশ ও রাহুল ত্রিপাঠি সাজঘরে ফেরার পর তিন বলের মধ্যে মাঠ ছাড়েন শুবমান গিল ও মরগ্যান। গিল ৩৩ বলে ৩০ রান করলেও ২ বল খেলে শূন্য করেন মরগ্যান।

পঞ্চম উইকেটে দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে ২০ বলে ২৯ ও ষষ্ঠ উইকেটে নারাইনের সঙ্গে ১৪ বলে ২৬ রানের দুটি কার্যকর জুটি গড়েন রানা। ১৬তম ওভারে কাগিসো রাবাদাকে ২ ছক্কা ও ১ চার মেরে খেলার ভাগ্য নিজেদের নিয়ে নিয়ে আসেন নারাইন।

ওই ওভারের পর ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ২৪ বলে কলকাতার দরকার দাঁড়ায় ৯ রান। নারাইনের পর টিম সাউদি ফিরলেও সেই অনায়াস কাজটা সারেন রানা। সমান ২ চার ও ছক্কায় ২৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। দিল্লির পেসার আবেশ খান তিন ওভারে ১৩ রানে পান ৩ উইকেট।

১১ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় আগের চতুর্থ স্থানেই আছে কলকাতা। একইভাবে হারলেও পরিবর্তন হয়নি দিল্লির অবস্থানের। ১১ ম্যাচে আট জয়ে তাদের অর্জন ১৬ পয়েন্ট।

Comments

The Daily Star  | English

Govt calls for patience as it discusses AL ban with parties

Taken the initiative to introduce necessary amendments to the ICT Act, says govt

1h ago