আইপিএল-২০২১

মোস্তাফিজ দারুণ বল করলেও হারল তার দল

মোস্তাফিজদের হতাশার রাত। ছবি: আইপিএল

উড়ন্ত শুরু পাওয়া রাজস্থান রয়্যালস বিশাল পুঁজির ভিতই পেয়েছিল। কিন্তু ওপেনারদের দারুণ শুরুর পর যুজভেন্দ্র চেহেলের লেগ স্পিন, হার্শাল প্যাটেলের পেসে মিডল অর্ডারে তালগোল পাকালো তারা।  ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়ে আটকে গেল মাঝারি রানে। নাগালে থাকা লক্ষ্য তেমন কোন সমস্যা ছাড়াই তুলে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

বুধবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচ হয়েছে একপেশে। মোস্তাফিজের রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।

আগে ব্যাট করে রাজস্থানের করা ১৪৯ রান ১৭ বল আগেই পেরিয়ে জিতে যায় বেঙ্গালুরু। বাকিদের বেহাল দশার মাঝে ৩ ওভার বল করে ২০ রানে দিয়ে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ২ উইকেট।

রান তাড়ায় বেঙ্গালুরুর হিরো ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অজি। তরুণ শ্রিকার ভরত করেন ৩৫ বলে ৪২।

বল হাতে অবশ্য মূল কাজ করে দিয়ে যান চেহেল। উড়তে থাকা রাজস্থানের ডানা ভেঙ্গে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হার্শাল প্যাটেল ৩৪ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।

১৫০ রান তাড়ায় নেমে উড়ন্ত শুরু আনেন দেবদূত পাড়িকাল-বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে নিতে থাকেন তারা।

চতুর্থ ওভারে বল হাতে পান মোস্তাফিজ। তার প্রথম ওভার থেকে দুই চারে আসে ১০ রান। পরের ওভারে এসে অবশ্য পাড়িকালকে ফেরান ফিজ। মোস্তাফিজের  ফুল লেন্থের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান পাড়িকাল। ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু।

অধিনায়ক কোহলিকে দারুণ থ্রোতে রানআউট করেন রিয়ান পরাগ। কিন্তু এরপরই শ্রিকার ভরত-গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের জুটিতে খেলা বের করে নিতে থাকে বেঙ্গালুরু। তরুণ ভরত খেলতে থাকেন সাবলীলভাবে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসে ৬৯ রান। ম্যাচ যখন বেঙ্গালুরুর অনেক নাগালে ১৬তম ওভারে ফিরে তখন ভরতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মোস্তাফিজ।

কিন্তু ক্রিস মরিসের আরেকটি বাজে দিনে ম্যাচ জমাতেই পারেনি রাজস্থান। মরিসের করা ১৭তম ওভারে ম্যাক্সওয়েল ২২ রান তুলে ফেলে খেলাই শেষ করে দেন। 

টস হেরে রাজস্থানের শুরুটা আলো ঝলমলে। দুই ওপেনার যশভি জয়সওয়াল আর এভিন লুইস মিলে উত্তাল করে তুলেন বাউন্ডারির ঝলকে। ওভারপ্রতি আসতে থাকে ১০ রান করে। বিশাল পুঁজি আশা তৈরি করেন তারা। ২২ বলে ৩১ করে নবম ওভারে জয়সওয়াল যখন আউট হন দলের রান তখন ৭৭।

লুইস থামেননি। রান আসতে থাকে তার ব্যাটে। আইপিএল নিজের তৃতীয় ফিফটি আনেন ৩২ বলে। একাদশ ওভারেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছিল রাজস্থান। এরপরই লুইসদের বিদায় এবং রাজস্থানের উলটো হাঁটা শুরু।

জর্জ গার্টনের বলে ৩৭ বলে ৫৮ করে থামেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। চারে নামা মহিপাল লামরোর নেমেছিলেন তেঁড়েফুড়ে মারার অ্যাপ্রোচে। কিন্তু চেহেলের গুগলি টের না পেয়ে ভুল করে এগিয়ে স্টাম্পিং হন ৩ রান করে। তিনে নামা অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের শুরুটা এদিনও দারুণ। দুই ছক্কায় আভাস দিয়েছিলেন বড় কিছুর।

শাহবাজ আহমেদের স্পিনে স্যামসন থামতে আরও বড় ধস নামে রাজস্থানের ইনিংসে। লিয়াম লিভিংস্টোন, রাহুল তেওয়াতিয়া, রিয়ান পরাগরা ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। ২৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় তারা, উইকেট পড়ার পাশাপাশি রানের গতিও হয়ে যায় শ্লথ। আটে নামা  মরিস পরে ১১ বলে ১৪ করলে দেড়শোর কাছে যেতে পারে তারা। কিন্তু ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না।

 

Comments

The Daily Star  | English

Israeli military says it killed Iran's wartime chief of staff

Israel says conducted 'extensive strikes' in Iran's west, while explosions near Tel Aviv, sirens blare across Israel; smoke rises after explosion in Iran’s Tabriz

3h ago