রাহুলের ফিফটির পর শাহরুখের ক্যামিওতে কলকাতাকে হারাল পাঞ্জাব

ভেঙ্কটেশ আইয়ারের আগ্রাসী হাফসেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাব দিতে নেমে পাঞ্জাব কিংসকে জয়ের ভিত গড়ে দিলেন দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। অধিনায়ক রাহুলের হাফসেঞ্চুরির পর শেষদিকে শাহরুখ খানের অপরাজিত ক্যামিওতে জিতে আইপিএলের প্লে অফের লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে থাকল তারা।

শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৩ বল হাতে রেখে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েন মরগ্যানদের ৭ উইকেটে ১৬৫ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে তারা। 

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আর্শদীপ সিং শুবমান গিলকে বোল্ড করে ফেরালেও চাপে পড়েনি কলকাতা। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার ভেঙ্কটেশ ও রাহুল ত্রিপাঠি। দলকে ভালো  দুজনেই এগোন সমানতালে।

২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করা ত্রিপাঠিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রবি বিষ্ণোই। এরপর নিতিশ রানার সঙ্গে ১৯ বলে ৩০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন ভেঙ্কটেশ। লেগ স্পিনার বিষ্ণোইয়ের দ্বিতীয় শিকার হন ভেঙ্কটেশ। ৩৯ বলে ফিফটি পূরণ করা এই বাঁহাতি সাজঘরে ফেরেন ৬৭ রানে। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ১ ছক্কা।

কলকাতার অধিনায়ক মরগ্যান আবারও ব্যর্থ হন ব্যাট হাতে। পেসার মোহাম্মদ শামির বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে তিনি ২ বলে করেন ২ রান। ১৮তম ওভারে রানার ঝড় থামান পেসার আর্শদীপ। ১৮ বলে সমান ২ চার ও ছক্কায় ৩১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

শেষদিকে টিম সেইফার্ট ফেরেন দ্রুত। দীনেশ কার্তিক পারেননি হাত খুলতে। আর্শদীপ ৪ ওভারে ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেতে বিষ্ণোইয়ের খরচা ২২ রান। শামি ২৩ রানে দখল করেন ১ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় পাঞ্জাবকে সুর বেঁধে দেন দুই ওপেনার মায়াঙ্ক ও রাহুল। তারা ৮.৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৭০ রান। বরুণ চক্রবর্তীর বলে মরগ্যানের হাতে মায়াঙ্ক ক্যাচ দিলে ভাঙে জুটি। ২৭ বলে সমান ৩ চার ও ছক্কায় ৪০ রান করেন তিনি।

বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে নিজের পরের ওভারে নিকোলাস পুরানকেও ফেরান বরুণ। ৭ বলে ১ ছক্কায় তার রান ১২। এক প্রান্ত আগলে থাকা রাহুল তৃতীয় উইকেটে এইডেন মার্করামের সঙ্গে যোগ করেন ২৯ বলে ৪৫ রান।

মার্করাম ফেরেন ১৬ বলে ১৮ করে। টিকতে পারেননি দীপক হুডা। তবে পঞ্চম উইকেটে শাহরুখের সঙ্গে ১৭ বলে ২৮ রানের জুটিতে জয় পাঞ্জাবের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন রাহুল। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ বলে ৬৭ রান। ৪ চার ও ২ ছক্কা মেরে ম্যাচের শেষ ওভারে তিনি যখন আউট হন, তখন লক্ষ্য থেকে তার দল ছিল মোটে ৪ রান দূরে।

পরের বলেই ছক্কা মেরে খেলা শেষ করেন শাহরুখ। ৯ বলে ২২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পথে তিনি হাঁকান ১ চার ও ২ ছক্কা। কলকাতার হয়ে স্পিনার বরুণ ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ২ উইকেট। উইকেটের দেখা পান সুনীল নারাইন, ভেঙ্কটেশ আর শিভাম মাভিও।

হারলেও ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আগের চতুর্থ স্থানেই রয়েছে কলকাতা। অন্যদিকে, পঞ্চম স্থানে উঠে আসা পাঞ্জাবের পয়েন্টও সমান। তারাও খেলেছে ১২ ম্যাচ। তবে নেট রান রেটে কলকাতার চেয়ে পিছিয়ে আছে তারা।