ম্যাক্সওয়েল-চাহাল ঝলকে প্লে অফে কোহলিরা

বিস্ফোরক ফিফটিতে সুরটা বেধে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিছুটা মন্থর উইকেটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু পেল চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। রান তাড়ায় লোকেশ রাহুল-মায়াঙ্ক আগারওয়ালের দারুণ শুরুতে পথে ছিল পাঞ্জাব কিংসও। কিন্তু লেগ স্পিনার যুজভেন্দ্র চেহেল আবারও গড়ে দিলেন ব্যবধান। রোমাঞ্চকর জয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়ে গেলে বেঙ্গালুরুর।
রোববার শারজাহতে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আগে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু করা ১৬৪ রান টপকাতে গিয়ে পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করে পাঞ্জাব।
পাঞ্জাবকে আটকে দিয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন চেহেল। এর আগে ৩৩ বলে ৫৭ করে দলের ব্যাটিং হিরো ম্যাক্সওয়েল। এই জয়ে চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালের পর প্লে অফে উঠল বেঙ্গালুরু। বাকি একটা জায়গার জন্য লড়াই এখন চার দলের।
জেতার জন্য পাঞ্জাবের শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৫২ রান। তখনও হাতে ছিল ৮ উইকেট। কিন্তু এরপর বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। ক্রিজে থাকা থিতু ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা।
১৬তম ওভারে বল করতে এসে সবচেয়ে বড় উইকেট পান চেহেল। রান তাড়ায় দলের চাহিদা মিটিয়ে ফিফটি করা আগারওয়ালকে ফেরান তিনি। চেহেলের বলে সিরাজের মুঠোবন্দি হওয়ার আগে ৪২ বলে ৫৭ আসে আগারওয়ালের ব্যাট থেকে।
খানিক পর চোখ ধাঁধান এক ক্ল্যাসিক্যাল লেগ স্পিনে বোল্ড করে দেন সরফরাজ আহমেদকে। এর আগে ১৩তম ওভারে তার শিকার হন নিকোলাস পুরানও।
১৬৫ রান তাড়ায় নেমে রাহুল-আগারওয়ালে আসে ভালো শুরু। অধিনায়ক রাহুল অবশ্য ছিলেন কিছুটা মন্থর। কিন্তু আগারওয়াল সব পুষিয়ে দিচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিল সহজ জেতার পথেই আছে পাঞ্জাব। একাদশ ওভারে রাহুলকে আউটকে ৯১ রানের জুটি ভাঙ্গেন শাহবাজ আহমেদ। ৩৫ বল খেলে ৩৯ রানে ফেরেন রাহুল।
তিনে নেমে ব্যর্থতার পথে হাঁটেন পুরান। এইডেন মার্কাম থিতু হলেও শেষটা করতে পারেননি। উড়তে থাকা পাঞ্জাব হুট করেই মিইয়ে যায়।

আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু আনেন বিরাট কোহলি-দেবদূত পাড়িকাল। যদিও মোহাম্মদ শামি ক্যাচ না ফেওলে ১০ রানেই ফিরতে পারতেন কোহলি। জীবন পান পাড়িকালও। ৩৫ রানে তার কট বিহাইন্ড বিতর্কিত সিদ্ধান্তে নাখোশ করে দেন টিভি আম্পায়ার। যদিও মোজেস হেনরিকসের শিকার হওয়ার আগে এরপর আর কেবল ৫ রানই করতে পেরেছেন।
তার আগেই কোহলিকে বোল্ড করে প্রথম উইকেট ফেলেন হেনরিকস। পরের বলে ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে তুলে নেন তিনি। বিনা উইকেটে ৬৮ থেকে ৩ উইকেটে ৭৩ রানে পরিণত হওয়া বেঙ্গালুরুকে এরপর টেনে নিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল- ডি ভিলিয়ার্স।
বিশেষ করে ম্যাক্সওয়েল ছিলেন দুর্ধর্ষ। মাত্র ৪০ বলে দুজনের জুটিতে আসে ৭৩ রান। কিছুটা মন্থর উইকেটেও ২৯ বলেই ফিফটি তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮ বলে ২৩ করে থামেন ভিলিয়ার্স। শেষ পর্যন্ত তারা থাকতে না পারলেও জুতসই পুঁজি চলে আসে স্কোরবোর্ডে। যা দিয়ে বোলাররা পাইয়ে বেঙ্গালুরুকে পাইয়ে দিলেন কাঙ্ক্ষিত জয়।
Comments