মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির বিপুল দেনা, জানা গেল নতুন তথ্য

অন্তত ১ হাজার ২৬ মার্চেন্টের কাছে ইভ্যালির দেনার পরিমাণ ৪০৮ কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য নিয়ে দাম পরিশোধ করেনি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।

ইভ্যালির নিজস্ব হিসাব থেকেই মার্চেন্টদের পাওনার এই তথ্য পাওয়া গেছে, যা কোম্পানিটির আভ্যন্তরীণ একটি সূত্র মারফত দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে।

কিন্তু ইভ্যালি গত ৫ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায় যে পণ্য সরবরাহকারীদের (এই প্রতিষ্ঠানগুলো মার্চেন্ট হিসেবে পরিচিত) কাছে তাদের দেনা ২০৫ কোটি টাকা—যা ডেইলি স্টারের কাছে থাকা তথ্যের অর্ধেক। তবে এই অংকটি আরও বড় হতে পারে, কারণ যে তথ্য দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে তা আংশিকও হতে পারে। এ ধরনের ডেটাশিট আরও থাকতে পারে।

ডেটাশিটগুলোতে তালিকার মতো করে প্রতিটি বিলের বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। প্রত্যেকটির জন্য আলাদা ইনভয়েস নম্বর, তারিখ, প্রত্যেক মার্চেন্টের কাছে দেনার পরিমাণ এবং তাদেরকে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে কী না (অনলাইন অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার, কিংবা চেকের মাধ্যমে) তার সব বৃত্তান্ত সেখানে আছে।

ইভ্যালির তথ্য অনুযায়ী, আর্টিসানের কাছে তাদের দেনা প্রায় ৩২ কোটি টাকা।

যাচাই করার জন্য আর্টিসানের অপারেশন্‌স ম্যানেজার অপু হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎক্ষনিক সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে না পারলেও অনুমান করে বলেন, অংকটি এরকমই হবে।

তিনি বলেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইভ্যালি প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করব না।'

গতবছরের নভেম্বরে আর্টিসানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয় যাতে ইভ্যালির গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ছাড়ে আর্টিসানের পোশাক কিনতে পারেন।

বেশিরভাগ মার্চেন্টের কাছেই ইভ্যালির দেনা ৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে। প্রায় ৭০টি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান পাবে ১ কোটি টাকা, এবং ১০ বিক্রেতার কাছে ইভ্যালির দেনা ৫ কোটি করে।

এ তালিকায় আছে সুপারস্টোর স্বপ্ন। এসিআই (লজিসটিকস) লিমিটেড (স্বপ্ন) এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, ইভ্যালির কাছে তারা ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা পাবেন।

মিনারেল ওয়াটার মাম ও কোমল পানীয় আরসি কোলা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান পারটেক্স বেভারেজের কাছে ইভ্যালির দেনা ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

পারটেক্স বেভারেজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড ম্যানেজার নাহিদ ইউসুফ জানান, অংকটি এরকমই হবে। তিনি বলেন, 'যদি ইভ্যালি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।' তিনি আরও জানান, তারা গত এক বছর ধরে ইভ্যালিকে পণ্য সরবরাহ করেছেন।

এ বছরের জুন মাসে ৫০০ বিক্রেতার কাছে ইভ্যালির দেনার পরিমাণ ছিল ১৩৯ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এই একই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ইভ্যালির বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

ইভ্যালির কাছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের পাওনা প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো। দ্য ডেইলি স্টারকে একটি সূত্র গত সপ্তাহে জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ইভ্যালির কাছে পাওনা হিসাব কষে বের করেছে। তবে ডেইলি স্টার এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

বাংলাদেশে স্যামসাংয়ের স্থানীয় অ্যাসেম্বলি অংশীদার ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ইভ্যালিকে মোবাইল ফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রিক পণ্য সরবরাহ করত।

প্রতিষ্ঠানটি ইভ্যালির সঙ্গে ২০২০ এর এপ্রিল/মে থেকে ব্যবসা শুরু করে। ইভ্যালি কখনো কখনো সর্বমোট অর্ডারের ১০ থেকে ২০ শতাংশ অর্থ জমা দিয়ে পণ্য নিয়ে যেতো। চুক্তি অনুযায়ী বাকি টাকা পরে পরিশোধ করার কথা ছিল।

প্রতিষ্ঠানটি ইভ্যালিকে এ বছরের মে মাসের পর আর কোনো মোবাইল ফোন সরবরাহ করেনি এবং জুলাই মাসে ইলেকট্রিক পণ্যের সর্বশেষ চালান গেছে।

সূত্রটি জানায়, 'যখনই তারা (ইভ্যালি) বলতো পণ্য নেবে, কিন্তু সে অনুযায়ী টাকা জমা দিতো না, তখনই ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহ করা বন্ধ করে দিতো।'

সূত্রটি আরও জানায়, 'যদি ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়, তাহলে তারা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করবে। এরপর তারা চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করবে।'

'ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন সরকারি সূত্র থেকে জানতে পেরেছে, সরকার ইভ্যালির সম্পত্তি নিলামে তোলার পরিকল্পনা করছে। যদি এরকম কিছু হয়, তাহলে সকল বকেয়ার হিসাব করে দেওয়া হবে। সেটাও ভালো হবে।'

দ্য ডেইলি স্টার ১ হাজার ১৪৩ বিক্রেতার তথ্য যাচাই করে জানতে পেরেছে, এদের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের কাছে ইভ্যালির কোন দেনা নেই।

তবে এই পত্রিকার কাছে ইভ্যালির দেনার সম্পূর্ণ তথ্য নেই। কারণ প্রতিষ্ঠানটি নিজেই দাবি করেছে তাদের ৩৫ হাজারেরও বেশি নিবন্ধিত বিক্রেতা অংশীদার আছে।

অন্তত ৫৫২টি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের পেমেন্টের অপেক্ষায় আছে। এগুলোর প্রত্যেকটির কাছে ইভ্যালির দেনা ১০ লাখ টাকা বা তার কম।

এদের মধ্যে একজন 'লুঙ্গী মার্কেট' এর সত্ত্বাধিকারী মুসলিম উদ্দিন। সিরাজগঞ্জের এক তাঁতির সন্তান মুসলিম, বাঙালি পুরুষের আদি পোশাককে প্রথাগত বাজার থেকে ইন্টারনেটে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, 'দুই বছর আগে আমি প্রথম যখন অনলাইনে লুঙ্গী-গামছা বিক্রি করার কথা ভাবি, তখন আমি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইভ্যালিকে বেছে নেই। আমি শুধুমাত্র এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করছি।'

এ মুহূর্তে ইভ্যালির কাছে তার বকেয়া বিলের পরিমাণ ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

মুসলিম বলেন, 'আমার ছোট ব্যবসার জন্য এটা অনেক টাকা। আমি জানি না কীভাবে টাকা ফেরত পাব, না পেলে আমার বিনিয়োগের পুরো টাকাটাই চলে যাবে।'

ঢাকার বনশ্রীর খেলনার দোকান টয়ঘর দাবি করেছে, তার কাছে ইভ্যালির দেনা প্রায় ৩ লাখ টাকা। ইভ্যালির নিজস্ব তথ্য বলছে, অংকটি প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

টয়ঘরের ব্যবস্থাপক শিপন বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ছোট। আমাদের সব খেলনার দাম ২ থেকে ৩ হাজারের মধ্যে। আমরা প্রথম ১-২ মাস নিয়মিত পণ্যের দাম পেয়েছি, কিন্তু তারপর টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।' টয়ঘরে ইভ্যালির কাছে গত ৪ থেকে ৫ মাস ধরে পণ্য বিক্রি করছে।

কমপক্ষে ১২২ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হারিয়েছেন ১ লাখ বা তার চেয়ে কম টাকা।

মীম ওয়াটার টেকনোলজিসের ১ দশমিক ৩ লাখ টাকার বিল বকেয়া আছে। বসিলার পানি পরিশোধন যন্ত্র বিক্রেতার বিল গত ফেব্রুয়ারি থেকে বকেয়া আছে বলে জানিয়েছেন সত্ত্বাধিকারী মোহায়মেন ইসলাম শামীম।

শামীম বলেন, 'আমি তাদেরকে (ইভ্যালি) প্রায় ৪-৫ মাস আগে থেকে পণ্য দেওয়া বন্ধ করে দেই, কারণ আমি সারাক্ষণ ভোক্তাদের কাছ থেকে কল পেতাম, যারা পণ্যের জন্য টাকা দিয়েছেন কিন্তু ডেলিভারি পাননি। ইভ্যালি পণ্য বিক্রি করতো, কিন্তু আমার কাছে ইনভয়েস পাঠাতো না। এ কারণে আমি কখনোই জানতে পারতাম না পণ্যের চালান পাঠানো হয়েছে কী না।' তিনি মাসে ৩০ থেকে ৪০টি ফিল্টার বিক্রি করতেন বলে জানান।

গত আগস্টের শেষের দিকে ইভ্যালি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, গ্রাহকদের কাছে তাদের দেনার পরিমাণ ৩১১ কোটি এবং তাদের গ্রাহকের সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৭৪১।

কীভাবে ইভ্যালি এই টাকা বা পণ্য পরিশোধ করবে, তা পরিষ্কার নয়। বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি গত সপ্তাহে বলেন, 'আমার মনে হয় না ইভ্যালির কাছে কোনো টাকা আছে। তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের তেমন কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।'

জুনে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করে জানতে পারে, ইভ্যালির সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৫ কোটি টাকা, যা বিক্রেতা ও ভোক্তার কাছে তাদের দেনার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।

এছাড়াও, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব) গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে মাত্র ৩০ লাখ টাকা আছে। র‍্যাব এখনো ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

মাত্র দুই দিনের তথ্য (৩১ জুলাই ও ৭ আগস্ট, ২০২১) বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অগ্রিম হিসেবে ৪ হাজার ভোক্তার কাছ থেকে ৩২ লাখ টাকা নিয়েছে। অর্থাৎ, ২ দিনে প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ দেনা তৈরি করেছে, তার সমপরিমাণ টাকাও এখন তাদের ব্যাংক হিসাবে নেই।

এই তথ্যও ইভ্যালির কর্মকর্তারা দিয়েছেন।

ইভ্যালির তদন্তের সঙ্গে জড়িত পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানায়, তারা সম্ভাব্য মানি লন্ডারিং কর্মকাণ্ডের জন্য তদন্ত করছেন এবং জানার চেষ্টা করছেন রাসেল প্রতিষ্ঠানের অর্থ কোনো ব্যক্তিগত তহবিলে স্থানান্তর করেছেন কী না।

অপরদিকে, গত ১৫ জুনে প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তাদের জন্য বানানো একটি প্রেজেন্টেশনে দেখানো হয়, ইভ্যালির মাসিক বিক্রির পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি।

সেখানে দেখানো হয় এ বছরের মে মাসে ইভ্যালির গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালু (জিএমভি) ছিল ৮০০ কোটি টাকা।

জিএমভি ই-কমার্সে ব্যবহৃত একটি ধারণা, যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে একটি মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া পণ্য বা মার্চেন্ডাইজের পরিমাণ হিসাব করা হয়। গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা প্রতিটি পণ্যের বিক্রয়মূল্যকে বিক্রি হওয়া পণ্যের সংখ্যা দিয়ে গুণ করে এই সংখ্যাটি পাওয়া যায়।

২০২১ এর জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ইভ্যালির গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালু ৫০০ থেকে ৬০০ কোটির মধ্যে ছিল।

অথচ ২০২০ এর সেপ্টেম্বর মাসেই তাদের জিএমভি ৫০ কোটির কম ছিল। অর্থাৎ কয়েক মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির জিএমভির ১০ গুন বেড়েছে।

প্রবৃদ্ধির এই কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কিছু সরকারি সংস্থা আর্থিক অনিয়মের জন্য ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল।

প্রতি মাসের বিক্রি কয়েকশো কোটি টাকা হওয়ার পরও তাদের ব্যাংক হিসাবে খুব কম টাকা থাকার বিষয়টি স্বভাবতই প্রশ্ন জাগায়, তাহলে এতগুলো টাকা গেলো কোথায়?

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গত সপ্তাহে দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'এখন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) উচিত হবে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টির দিকে নজর দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্যের অগ্রিম মূল্য হিসেবে নেওয়া টাকার হদিশ বের করা। টাকা যদি ব্যাংকে না থাকে, তাহলে কোথায় আছে?'

র‍্যাব গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি নতুন গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরনো গ্রাহকদের দেনা মেটাতো।

আগস্টের শেষের দিকে বিএফআইইউ জানায় তারা তদন্তের স্বার্থে ইভ্যালির সম্পদ 'ফ্রিজ' করে দেবে। পরে, সেপ্টেম্বরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষও তাদের সঙ্গে তদন্তে যোগ দেয়।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালোগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারে লিখেছেন, 'এ ধরনের ব্যবসার দেখভাল ও নিরীক্ষণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই অসাধু কর্মকাণ্ড মাসের পর মাস চলেছে। কেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এটাকে চিহ্নিত করে থামায়নি, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।'

ইভ্যালির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও গতকাল রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

[এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সুকান্ত হালদার]

Comments

The Daily Star  | English

Tax officials protest at NBR headquarters over draft revenue law

Several hundred tax and customs officials staged a demonstration at the National Board of Revenue (NBR) headquarters in Dhaka today, demanding revisions to a draft ordinance that proposes dividing the board into two separate divisions and allowing top appointments from outside the revenue cadre.

9m ago