‘বাংলাদেশের ফুটবল বেঁচে আছে’ 

সোমবার মালদ্বীপে ৪০ মিনিট একজন কম নিয়ে খেলেও গোল শোধ দিয়ে ভারতের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে বাংলাদেশ।

দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ ফুটবলের সাফল্যহীন পথচলায় তৈরি হচ্ছিল একের পর এক হতাশার গল্প। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের তলানি পৌঁছে যাওয়া দেশের ফুটবলের মৃতপ্রায় ছবি হাহাকার দিচ্ছিল ফেলে আসে সোনালী অতীতের। তবে নতুন দায়িত্ব পেয়ে ভারতকে রুখে দেওয়ার পর কোচ অস্কার ব্রুজেন বলছেন, বেঁচে আছে বাংলাদেশের ফুটবল। 

সোমবার মালদ্বীপে ৪০ মিনিট একজন কম নিয়ে খেলেও গোল শোধ দিয়ে ভারতের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে বাংলাদেশ। ১০ জন নিয়েও বাংলাদেশের আগ্রাসী ইতিবাচক ফুটবল নজর কেড়েছে মানুষের। কৌশলের প্রশংসা পাচ্ছেন কোচ ব্রুজেনও। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচ প্রমাণ দিয়েছে বেঁচে আছে দেশের ফুটবল, 'আমি বলতে চাই বাংলাদেশের ফুটবল বেঁচে আছে। কাজেই এই টুর্নামেন্ট থেকে আমাদের আরও পয়েন্ট নেওয়ার আছে। অবশ্যই প্রতিটি খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের উপর ভরসা রেখেছি। আমাদের দেশও ভারতের বিপক্ষে ইতিবাচক ফুটবল আশা করেছিল।' 

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারানোর পর ভারতকে রুখে দিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আছে জামাল ভূঁইয়ার দল। 

অথচ ভারতের বিপক্ষে ২৬ মিনিটে সুনিল ছেত্রীর গোলে পিছিয়ে জেগেছিল হতাশার আরেক ম্যাচের শঙ্কা। বিরতির পর ৬০ মিনিটে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ লাল কার্ড পেয়ে বেরিয়ে গেলে সেই শঙ্কা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। 

কিন্তু ইতিবাচক মানসিকতায় দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ৭৪ মিনিটে হেডে গোল শোধ দিয়ে দেন ইয়াসিন আরাফাত। চরম খারাপ অবস্থা থাকে আসে স্বস্তির ড্র। তবে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট না হলে ম্যাচটা বাংলাদেশ জিততেও পারত। কোচ মনে করছেন জেতাই উচিত ছিল,  'ছেলেরা আজ দুর্দান্ত খেলেছে আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রথম অর্ধে পিছিয়ে না গেলেও বিরতিরর পর একইভাবে খেলতাম। আমার মনে হয় জেতার সুযোগটা অনেক অনেক বেশি ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম অর্ধে আমরা একটি গোল খেয়ে ফেলি যেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।' 

এক গোল ও একজন খেলোয়াড় হারিয়ে পিছিয়ে থাকার পরই বাংলাদেশ খেলেছে সেরা ফুটবল। ব্রুজেনের মতে পরিকল্পনা করিয়ে বাড়তি শক্তি নিয়ে খেলেছেন তারা। ভারত ম্যাচের পর এবার মালদ্বীপ নিয়ে ভাবা শুরু করেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা,  '।আমরা এক পয়েন্ট পেয়েছি পরের ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ।' 

Comments

The Daily Star  | English

The invisible ones

Of the over 7 crore people employed in Bangladesh, 85 percent (nearly 6 crore) are vulnerable as they work in the informal sector, which lacks basic social and legal protection, and employment benefits.

9h ago