প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনের অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

সবচেয়ে পরিচিত ও প্রাণঘাতী মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নতুন এক অস্ত্র হাতে পেয়েছে বিশ্ব। এতদিন কোনো ভ্যাকসিন ছিল না ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে। অবশেষে গতকাল বুধবার ম্যালেরিয়ার একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এর ফলে প্রতিবছর লাখো শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।  

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৫ লাখের মতো মানুষ মারা যায়। যাদের অধিকাংশই সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের। এ ছাড়া, তাদের মধ্যে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার। 

ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। যা শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের পর দরিদ্র দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে। 

ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ম্যালেরিয়া প্রোগ্রামের পরিচালক ডা. পেড্রো আলোনসো বলেন, 'ম্যালেরিয়ার জন্য নিরাপদ ভ্যাকসিন, পরিমিত মাত্রায় কার্যকর এবং বিতরণের জন্য প্রস্তুত থাকার বিষয়টি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।'

মসকুইরিক্স নামের ভ্যাকসিনটি শুধু ম্যালেরিয়ারই প্রথম না, এটি কোনো পরজীবী রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও প্রথম উদ্ভাবন। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার চেয়েও পরজীবী অনেক বেশি জটিল। প্রায় শত বছর ধরে চেষ্টা চলে আসছে ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন তৈরির। 

ডা. আলোনসো বলেন, 'মানব পরজীবীর বিরুদ্ধে ফার্স্ট জেনারেশনের ভ্যাকসিন তৈরি বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বিশাল অর্জন।'

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

21h ago