হাসপাতাল

জনবল সংকটে ব্যাহত পাবনা মানসিক হাসপাতালের সেবা

চিকিৎসক ও লোকবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সেবা। ৫০০-শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকট থাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসক ও লোকবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সেবা। ৫০০-শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকট থাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

পাবনা মানসিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে হাসপাতালে প্রায় ৪ লাখ ৩৫ হাজার রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালে ২২ হাজার ২৮৯ জনকে সেবা দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৩ হাজারে। রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল বাশার মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৫০০-শয্যার এ বিশেষায়িত হাসপাতালে ৩১ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৩ জন। ১৮ জন চিকিৎসকের পদ এখনও শূন্য।'

তিনি আরও জানান, সিনিয়র কনসালটেন্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকলোজিস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ এখনও ফাঁকা।

চিকিৎসক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ৬৪৩ জন লোকবল থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ৪৪৫ জন। ১৯৮টি পদ এখনও ফাঁকা আছে, তিনি যোগ করেন।

হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হলেও বেশিরভাগ রোগীই এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, জনবল স্বল্পতার কারণে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তাঁত প্রশিক্ষণ, বেতের কাজ প্রশিক্ষণ বন্ধ আছে। হস্তশিল্প ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কাজ চলমান থাকলেও ২৫ থেকে ৩০ জনের বেশি প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন না।

পরিচর্যার অভাব দেখা গেছে পার্কে। খেলার মাঠের পরিচর্যা না থকায় আউটডোর প্রায় অচল। তবে রোগীরা ঘরের মধ্যে কেরাম, সাইক্লিং, টেবিল টেনিস খেলার সুযোগ পাচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Cut some luxuries to focus on worker welfare, PM tells factory, mill owners

On the occasion of May Day, Prime Minister Sheikh Hasina asked owners of mills and factories to cut some luxuries in their lives to pay special attention to labourers' welfare

41m ago