নোয়াখালীতে হামলা-সংঘর্ষ, মামলা, আটক অর্ধশতাধিক

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গত শুক্রবার মন্দির ও পূজা মন্ডপে হামলা, লুটপাট ও ২ জন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। 

আজ রোববার দুপুরে চৌমুহনী ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রতেশ্বর দেবনাথ বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৮০ থেকে ২০০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার নথিতে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও ২ জনকে পিটিয়ে হত্যার কথা উল্লেখ করা রয়েছে।

হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ৫৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহ এমরান রোববার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আজ সকাল পর্যন্ত হামলায় জড়িত সন্দেহে ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। বর্তমানে চৌমুহনীর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে।'

মামলার বাদী ও চৌমুহনী ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ রতেশ্বর দেবনাথ জানান, তিনি দীর্ঘ ২১ বছর ধরে চৌমুহনী ইসকন মন্দিরের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইসকনের ২৫ জন আবাসিক ভক্ত ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইসকনে আরও ২৫ জন ভক্ত এসেছিলেন। পূজার শেষ দিন শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ভক্তরা দুপুরে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেসময় মন্দিরের উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে কয়েকশ লোক মন্দিরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ভক্তদের ওপর হামলা হয়। হামলায় ২ জন নিহত ও অর্ধশত লোক আহত হয়েছে।