কেরালায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ২৬

ভারতের কেরালায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস ও বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেরালায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস ও বন্যায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সংবাদ সংস্থা এএনআই রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন কোট্টায়াম, ৯ জন ইদুক্কি এবং ৪ জন আলাপুঝা জেলার বাসিন্দা।

সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, পুলিশ এবং দমকল বাহিনী স্থানীয়দের সঙ্গে রোববার সকালে কোট্টায়াম জেলার কুটটিকাল এবং ইদুক্কি জেলার কোক্কায়ারে উদ্ধার কাজ শুরু করে। সেখানে ভারী বর্ষণের সঙ্গে ভূমিধসের কারণে এক ডজনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে অভিযান চলছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে ৮, ৭ ও ৪ বছর বয়সী ৩ শিশু পাশাপাশি থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

পাঙ্গোডে সামরিক স্টেশন থেকে মাদ্রাজ রেজিমেন্ট কুটটিকাল থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কাভালি গ্রামে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

ডিফেন্স পিআরও জানিয়েছে, ত্রাণ সামগ্রীসহ নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার আইএনএস গরুড় থেকে রাজ্যের বৃষ্টি-প্রভাবিত এলাকার দিকে যাচ্ছিল। শাঙ্গুমুগমের এয়ার ফোর্স স্টেশনে দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার প্রস্তুত আছে।

ডিফেন্স পিআরও জানিয়েছে, কান্নুরের ডিএসসি সেন্টার থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল টিম নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল উদ্ধার অভিযানে ওয়ানাডে পৌঁছেছে। বেঙ্গালুরু থেকে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স শিগগির ওয়ানাডে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৩টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।

এনডিআরএফের মহাপরিচালক এস এন প্রধান শনিবার বলেছিলেন, মালাপ্পুরাম, আলাপুঝা, এর্নাকুলাম, ত্রিশূর, পাঠানমথিট্টা, পালাক্কাড, কোট্টায়াম, কান্নুর এবং কোল্লামে একটি করে দল মোতায়েন করা হবে এবং দুটি দল ইদুক্কিতে মোতায়েন করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ বলেছেন, কেন্দ্র কেরালার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য এনডিআরএফ দল মোতায়েন করেছে।

তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কেরালার কিছু অংশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। কেন্দ্রীয় সরকার অসহায়দের সব ধরনের সহায়তা সরবরাহ করবে। সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।

Comments

The Daily Star  | English

Sea-level rise in Bangladesh: Faster than global average

Bangladesh is experiencing a faster sea-level rise than the global average of 3.42mm a year, which will impact food production and livelihoods even more than previously thought, government studies have found.

8h ago