অপুর ঘূর্ণিতে জয়ের খুব কাছে ঢাকা, মিরাজের ৬ উইকেট

প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে পেলেন চারটা। সিলেট বিভাগের ব্যাটিং লাইন আপ প্রায় একাই ভেঙে দিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। অবশ্য দুই ইনিংসেই তিনটি করে উইকেট তুলে তাকে তাকে দারুণ সঙ্গ দিলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তাতেই জয়ের পথে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। আর মাত্র ১৮ পেলেই জয় পাবে দলটি। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে ৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ৪৮ রান করেছে ঢাকা বিভাগ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানে অলআউট হয়েছে তারা। এর আগে স্বাগতিকদের দুই ইনিংস ৬৭ ও ১৭৪ রানে গুটিয়ে দেয় দলটি।

আগের দিনের ১ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা সিলেট এদিন আর ২৮ রান যোগ করতে অপুর ঘূর্ণিতে পড়ে ইমতিয়াজ হোসেন তান্নাকে হারায়। ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন অমিত হাসান। কিন্তু সঙ্গীদের ব্যর্থতায় প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেননি।

দারুণ এক ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন অমিত। ২০৯ বলের ইনিংসটি ৭টি চারের সাহায্যে সাজান তিনি। ইমতিয়াজের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ৭৯ বলে ৬টি চারে এ রান করেন এ ওপেনার। এ দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন আর দুই জন। ফলে ১৭৪ রানে অলআউট হয় সিলেট।

৬৬ রানের সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকারও। দলীয় ৬ রানেই আব্দুল মজিদকে হারায় দলটি। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। সাইফ হাসানও হন ব্যর্থ। তবে লক্ষ্য ছোট হওয়ায় সমস্যা হয়নি। রাকিবুল হাসান ও তাইবুর রহমানের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকা। রাকিব ৫ ও তাইবুর ৩ রানে ব্যাট করছেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজের নৈপুণ্যে ভালো অবস্থানে আছে খুলনা বিভাগ। আগের দিনের ৮ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা রংপুর বিভাগ এদিন শেষ দুই উইকেট হারিয়ে ৩১ রান যোগ করতে পেরেছে। শেষ দুটি উইকেটই তুলে নেন মিরাজ। ধীমান ঘোষকে (৩১) বোল্ড এবং রবিউল হককে (২৮) জিয়াউর রহমানের তালুবন্দি করেন এ স্পিনার।

৯০ রানের খরচায় ৬টি উইকেট পান মিরাজ। ৫৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে দিনটা ভালোই কাটে খুলনার। দলীয় ১১ রানে ইমরান উজ্জামানকে হারানোর পর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন বিজয়। এরপর অবশ্য ২৭ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট তুলে রংপুরকে ম্যাচে ফেরান সোহরাওয়ার্দী শুভ। এরপর চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন বিজয়। এ জুটিও ভাঙেন সোহরাওয়ার্দী।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়েছেন বিজয়। ১৩৫ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন এ ওপেনার। ৬৪ বলে ৩৩ রান করেন মিঠুন। ১৭ রানে বিজয়ের সঙ্গে উইকেটে আছেন মিরাজ। রংপুরের পক্ষে ৫১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান সোহরাওয়ার্দী।

Comments

The Daily Star  | English

'Bangladesh applauds 20% US tariff as ‘good news’ for apparel industry

Bangladesh has welcomed the outcome of trade negotiations with Washington, securing a 20 percent tariff rate on its exports to the US under a sweeping new executive order issued by President Donald Trump.

59m ago