সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতা-সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে সিএসও অ্যালায়েন্সের বিবৃতি

দেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়িতে আগুন দেওয়াসহ সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছে নাগরিক জোট সিএসও অ্যালায়েন্স।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'সম্প্রতি দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়িতে আগুন দেওয়াসহ নানাবিধ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশের অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার ওপর এটা একটা বড় আঘাত। এ ধরনের অশুভ তৎপরতা ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমরা এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।'

এতে আরও বলা হয়, 'আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ ও পূর্ব প্রস্তুতি থাকার দাবি সত্ত্বেও, শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে এ ধরনের ঘটনা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে তাদের দুর্বলতা ও সক্ষমতার অভাবকে দৃশ্যমান করে তুলেছে। ঘটনা পরম্পরায় এটা স্পষ্ট যে, কিছু চিহ্নিত উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী অত্যন্ত সুকৌশলে ধর্মকে পুঁজি করে এ ঘটনাগুলো ঘটিয়ে চলেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এসব ধর্ম ব্যবসায়ী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কঠোর হস্তে দমন করা হোক।'

ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহমর্মিতা ও একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রাষ্ট্র, সরকার, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনকে সকল ধরনের জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে সিএসও অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিচ্ছি।'

বিবৃতিতে সবার অংশগ্রহণে, সব জনগোষ্ঠীর অধিকারভিত্তিক সহাবস্থানে, ধর্ম-বর্ণ এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকার সমুন্নত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সব অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তি, ব্যক্তির সমন্বিত উদ্যোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন- সিএসও অ্যালায়েন্সের আহবায়ক রাশেদা কে চৌধূরী, বাপার প্রেসিডেন্ট সুলতানা কামাল, ওয়াটারএইডের রিজিওনাল ডিরেক্টর খায়রুল ইসলাম, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক দিবালোক সিংহ, আদিবাসী ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি সঞ্জীব দ্রং, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশি কবির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক এহসানুর রহমান, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, সেন্টার ফর ডিজ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান, স্বাবলম্বী, নেত্রকোনার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম, ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) চেয়ারপারসন মোরশেদ সরকার, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, এফএনবির চেয়ারপারসন জাকির হোসেন, সাজেদা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন এস এন কৈরী, এডিডি ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম, জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভী রাখসান্দ, প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মনসুর আহমেদ চৌধুরী, এসকেএস, গাইবান্ধার নির্বাহী পরিচালক রাসেল আহম্মেদ লিটন, সুশীলন, গাইবান্ধার নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা নুরুজ্জামান, বিওয়াইএলসির নির্বাহী পরিচালক ইজাজ আহমেদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Govt plans to include private sector in US tariff talks

Bangladesh is currently reviewing the proposals and will send a response within the next couple of days, Commerce Secretary Mahbubur Rahman told The Daily Star yesterday over the phone.

13h ago