২ উড়োজাহাজ ভাড়ায় ক্ষতি: সাবেক বিমান কর্মকর্তাদের লিখিত বক্তব্য চায় সংসদীয় কমিটি

মিশর থেকে উড়োজাহাজ ভাড়া করে আর্থিক ক্ষতির ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দীন আহমেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম মোসাদ্দেক আহমেদসহ বিমানের সংশ্লিষ্ট সাবেক কর্মকর্তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আর এ এম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

৭ বছর আগে মিশর থেকে ভাড়া করে আনা ২টি উড়োজাহাজের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ক্ষতির ঘটনা তদন্তে এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জামাল উদ্দীন আহমেদ ও এএম মোসাদ্দেক আহমেদের সাক্ষ্য নেয় সংসদীয় কমিটি।

বৈঠক সূত্র জানায়, তাদের লিখিত বক্তব্য পেলে কমিটি একটি বিশেষজ্ঞ দলের মাধ্যমে তাদের উত্তর পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

এ ঘটনায় যেন কোনো নিরীহ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়েও খেয়াল রাখবে কমিটি।

আজ বৈঠকের সময় জামাল উদ্দিন আহমেদ, মোসাদ্দেক আহমেদ ও বিমানের বেশ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

৫ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজ ২টি লিজ নেয় বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে। ১ বছরের কম সময়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই আরেকটি ইঞ্জিন ভাড়া করে আনা হয়।

এর দেড় বছরের মাথায় উড়োজাহাজটির অন্য ইঞ্জিনটিও বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। গত ডিসেম্বরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। মেরামত করতে ইঞ্জিনটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। এতে ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী—উভয় প্রতিষ্ঠানকেই অর্থ দিতে হচ্ছে বিমানকে।

গত বছরের অক্টোবর মাসে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজের পেছনে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের নিট ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago