লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে সাফারি পার্ক: সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুমোদন

মৌলভীবাজারের সংরক্ষিত লাঠিটিলা বনে দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সাফারি পার্ক তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা বনে জরিপের কাজ। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় সংরক্ষিত লাঠিটিলা বনে দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুমোদন দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রতিবেদনের উপর আলোচনা শেষে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপঙ্কর বর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত মাস্টার প্ল্যান সমাপ্ত করে ডিটেইলড প্রজেক্ট প্ল্যান (ডিপিপি) তৈরির নির্দেশ দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, 'বনের অনেক জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ হলে বনের মধ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ বন্ধ হবে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।'

তিনি আরও বলেন, বনের জরিছড়া ও লালছড়া গ্রামে অবৈধভাবে বসবাসকারী ৩৭টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির দল নেতা ড. তপন কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।

মৌলভীবাজারের পাথারিয়া হিল রিজার্ভের জুড়ী বন রেঞ্জের ৫১৪১ একর জায়গা নিয়ে লাঠিটিলা বন বিট অবস্থিত যার ২৭০ একর এলাকায় সাফারি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এটি 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক' নামকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গত ৩ জুলাই দ্য ডেইলি স্টারে 'মৌলভীবাজারে সাফারি পার্ক তৈরিতে জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসের আশঙ্কা' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরিবেশবিদরা এই বনে সাফারি পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Personal data up for sale online!

A section of government officials are selling citizens’ NID card and phone call details through hundreds of Facebook, Telegram, and WhatsApp groups, the National Telecommunication Monitoring Center has found.

2h ago