নামিবিয়াকে হারিয়ে সবার আগে সেমি-ফাইনালে পাকিস্তান

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার শুরু থেকেই দুর্দান্ত পাকিস্তান। শক্তিশালী ভারতকে উড়িয়ে শুরু করে তারা। সে ধারায় টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে দলটি। এদিন আসরে চমক দেখানো নামিবিয়াকেও সহজে হারিয়েছে পাকিস্তান। তাতে এবারের আসরে সবার আগে সেমি-ফাইনালের টিকেট কেটে নিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নামিবিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৯ রান করে তারা। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার দল নামিবিয়া।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা নামিবিয়ার জন্য লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। তবে সে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল নামিবিয়া। যদিও দলীয় ৮ রানে ওপেনার মাইকেল ভ্যান লিংগেনকে হারায় দলটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে স্টিফেন বার্ডকে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ক্রেইগ উইলিয়ামস। ৪৭ রানের জুটিও গড়েছিলেন। এ জুটি ভাঙে ভুল বোঝাবুঝির কারণে। দ্বিতীয় রান নিতে চেয়ে ছিলেন বার্ড। উইলিয়ামস রাজী হননি। ততোক্ষণে অনেকটা মাঝামাঝি চলে আসেন বার্ড। আর ফিরতে পারেননি। অল্পের জন্য রানআউট হন তিনি।

এরপর ডেভিড ভিসে সঙ্গে ২৮ রানের আরও একটি জুটি গড়েছিলেন উইলিয়ামস। তবে এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে ষষ্ঠ উইকেটে নিকোল লফটি-ইটনকে চেষ্টা চালিয়েছিলেন ভিসে। অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটি গড়ে হারের ব্যবধান কমান তিনি। 

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ভিসে। ৩০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন এ অলরাউন্ডার। ৪০ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামস। ৩৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৯ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান করেন বার্ড।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তবে শুরুতেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাদের দারুণ চেপে ধরেছিল নামিবিয়া। প্রথম তিন ওভারে রান দিয়েছিল মাত্র ৬। প্রথম বাউন্ডারিটা আসে চতুর্থ ওভারে। ফলে পাওয়ার প্লেতে আসে মাত্র ২৯ রান। দলীয় ফিফটি আসে ৯ ওভারে। এরপরই ধীরে ধীরে খোলস ভাঙতে শুরু করেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার।

রিজওয়ান কিছুটা দেখে শুনে খেললেও রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই নেন অধিনায়ক বাবর আজম। দারুণ সব শট খেলে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন। রিজওয়ানের সঙ্গে গড়েন ১১৩ রানের দারুণ এক জুটি। ৪৯ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৭০ রানের ইনিংস খেলে ডেভিড ভিসের শিকার হন বাবর।

বাবরকে তুলে নেওয়ার পর ৯ রানের ব্যবধানে ফখর জামানকেও আউট করে নামিবিয়া। তবে এরপর শুধুই পাকিস্তানের গল্প। উইকেটে নেমেই জাদুকরী সব শটে রানের গতি বাড়াতে থাকেন মোহাম্মদ হাফিজ। রিজওয়ানের রান তখন ৪০ বলে ৪৪। হাফিজের আগ্রাসন দেখে হাত খুলে ব্যাটিং শুরু করেন রিজওয়ানও। পরের ১০ বলে করেন ৩৫ রান। এ ব্যাটারের আগ্রাসনে শেষ ২৩ বলে ৬১ রান তুলে নেয় তারা।

৪২ বলে ফিফটি স্পর্শ করা রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ৫০ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন হাফিজ। ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus-Rubio

Yunus, Rubio discuss boosting security, stability in Indo-Pacific

Rubio held a 15-minute long telephone conversation with Yunus around 7:30pm

3h ago